ঢাকা: মায়ানমারে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক করেছে গণসংহতি আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা ও বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক এ গোলটেবিল অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজক সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে গোলটেবিলে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-এর নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, অধ্যাপক স্বপন আদনান, নৃবিজ্ঞানী প্রশান্ত ত্রিপুরা, অধ্যাপক তানজিমউদ্দীন খান, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, লেখক-শিল্পী অরূপ রাহী প্রমুখ।
গোলটেবিলে অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় না দিলে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। ফলে তাদের শনাক্ত করা ও ফেরত পাঠানো আরও কঠিন হবে।
অধ্যাপক স্বপন আদনান বলেন, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুরা একদিকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন, অন্যদিকে তাদের সস্তায় শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করছে মাছ ব্যবসায়ী, কাঠ ব্যবসায়ী ও মাদক চোরাকারবারীরা।
অধ্যাপক তানজিম উদ্দীন খান বলেন, অভিবাসন একটা বাস্তবতা। কয়েকশত বছর ধরে যারা মায়ানমারে বাস করছেন, তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না।
জোনায়েদ সাকি বলেন, মায়ানমারের রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের রক্ষায় গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো নিশ্চুপ থাকলে এই গণহত্যা বন্ধ হবে না। বরং মৌলবাদী শক্তিগুলো এই সুযোগ নেবে। দেশের মধ্যে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা যেমন সৃষ্টি হবে, সীমান্তেও স্থায়ী নৈরাজ্য হিসেবে এটা থেকে যাবে। বাংলাদেশের কর্তব্য জাতিসংঘ, প্রতিবেশী দেশসমূহও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে নিয়ে একটা সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া। বাংলাদেশ সরকারকে এই উদ্যোগ গ্রহণে বাধ্য করা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্তব্য।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
এনটি/এইচএ/