মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবীর রিজভী বলেন, বর্বর অগণতান্ত্রিক এই সরকার, জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য গণতন্ত্রের জন্য বড় হুমকি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা জানতে চাই- ২০১১ সালে পদ্মাসেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করলো কেন বিশ্বব্যাংক? সেতুর কাজ পেতে তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে দেশপ্রেমিক সার্টিফিকেট দিয়ে মন্ত্রিত্ব কেড়ে নিয়েছিলেন কেন? সচিবসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কেন?
তিনি বলেন, বিরোধীদলের নেতাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুদক দিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে। কারণ অভিযোগ দায়ের করার এবং গ্রেফতার করার সংস্থাগুলো সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগের পকেটে।
দেশবাসীকে হিসাব দিতেই হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশবাসী জানে যে, শেয়ার বাজারের হাজার হাজার কোটি টাকা কারা হজম করেছে, ব্যাংক-বিমা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কারা লুট করেছে, বড় বড় প্রকল্পের লুটের টাকা কোথায় পাচার হচ্ছে। জনগণের টাকা জালিয়াতি করে কল্পনাতীত গুণ্ডমির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা যাবে না, জনগণের টাকা জনগণকে ফেরত দিতেই হবে একদিন।
কোমলমতি শিশুদের বিনামূল্যে বই বিতরণের নামে প্রতারণা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ঘটা করে বই বিতরণের উৎসব করলেও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টাকা ছাড়া বই পাচ্ছে না শিশুরা, এমন অভিযোগ পত্র-পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। বই উৎসবের নামে শিশুদের সঙ্গে বই বিতরণে প্রতারণা ও তামাশা বন্ধ করার জন্য আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদুস তালুকদার দুলু, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৭
এমএ/আইএ