বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের গুলশান হলের সামনে যুবদলের মিছিলে এবং ডিআইটি এলাকায় বিএনপি কার্যালয়ের নিচে নেতাকর্মীদের সমাগমে এ লাঠিচার্জ করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করায় নেতাকর্মীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে শহরের মন্ডলপাড়া পুল এলাকা থেকে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আসার পথে গুলশান হলের সামনে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় ধস্তাধস্তি শুরু হলে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করতে থাকে। এতে আহত হন যুবদল নেতা জুলহাস ও মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক রাশেদুর রহমান রশুসহ ১০-১২ জন। আটক করা হয় খোরশেদ, মহানগর যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক রানা মুজিব, যুবদল নেতা আলামিন খান ও বাদশা মিয়াকে। একই সময়ে বিএনপি কার্যালয়ের নিচে দলের নেতাকর্মীরা জড়ো থাকলে হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল আলম মুছা গুরুতর আহত হন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নারায়ণগঞ্জের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আটক হওয়ার সময় খোরশেদ গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেন, “পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিনা উস্কানিতে লাঠিচার্জ করেছে। এ সময় আহত হন মহানগর বিএনপি নেতা রুহুল আমিন, রিফাত আহমেদসহ বেশ কয়েকজন কর্মী। ”
এ বিষয়ে মহানগর বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, “আজকে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে পুলিশ আবারও প্রমাণ করলো আসলেই আজকের দিনটিতে কিভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ দিনটিকে গণতন্ত্রের কালো দিন আখ্যা দিয়ে ঘৃণাভরে স্মরণ করি। ”নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীদের অগণতান্ত্রিকভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বিনা উস্কানিতে হামলা করেছে। ”
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) শরফুদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, “শহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করায় তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। এসময় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় আটক করা হয়েছে ৪ জনকে। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭/আপডেট ১৬১৬ ঘণ্টা/আপডেট ১৬৫৭ ঘণ্টা
এইচএ/