ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকার বিএনপিকে উত্তেজনাকর অবস্থায় নিতে চাচ্ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১৭
সরকার বিএনপিকে উত্তেজনাকর অবস্থায় নিতে চাচ্ছে

ঢাকা: পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে সরকার বিএনপিকে উত্তেজনাকর ও সংঘাতময় অবস্থার দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথসভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
 
ফখরুল বলেন, ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের তৃতীয় বর্ষপূতিতে বিএনপি সারা দেশে কালো পতাকা মিছিল ও কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করছে।

এ কর্মসূচি বানচালের জন্য সরকার একদিকে রাষ্ট্রযন্ত্র অন্যদিকে দলীয় পেটোয়া বাহিনী ব্যবহার করছে।
 
বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পার্টি অফিসের সামনে প্রজন্মলীগ নামে তাদের একটি পেটোয়া বাহিনী এসে তাণ্ডব চালায় এবং আমাদের একজন নেতাকে মারধর করে।
 
পুলিশের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটেছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, আমাদের অফিসের সামনে পুলিশের উপস্থিতিতে যখন এ ধরনের ঘটনা ঘটে, তখন আপনারা বুঝতে পারছেন সরকার কী ধরনের প্রোভেকেশন করছে। অর্থাৎ সরকার চাচ্ছে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপিকে একটি উত্তেজনাকর অবস্থার মধ্যে নিয়ে যেতে; সংঘাতময় পরিস্থিতে ঠেলে দিতে।

খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরার সময় ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা এলাকা থেকে শাহবাগ থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল হক ও নিজ বাসা থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মো. তবারক হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানান ফখরুল।
 
এছাড়া কালো ব্যাজ ধারণ ও কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি পালনের সময় ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের বাড়ি ঘেরাও ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব।
 
তিনি জানান, কর্মসূচি পালনের সময় নওগাঁ, জয়পুরহাট, নাটোর, টাঙ্গাইল, নোয়াখালী, বরিশাল ও ময়মনসিংহ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
 
এ সবের মাধ্যমে সরকার ‘বিরাজনীতিকরণের’ চেষ্টা চালাচ্ছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, বিএনপি, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপির সিনিয়র নেতাদের যদি রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যায়, তাহলে এ দেশে ভায়াবল কোনো অপজিশন পার্টি থাকবে না। এ কারণে সুকৌশলে তারা এ কাজটি করছে।

ফখরুল বলেন, গাইবান্ধার সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যার পর পরই আমরা বলেছি, সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। কিন্তু এটা তো হবেই না। বরং সেটাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেই উদ্যোগ নিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, যুব দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যালবার্ট পি কস্তা, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মওলানা আব্দুল মালেক, জাসাসের সভাপতি এম এ মালেক, ছাত্র দলের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি প্রমুখ।
 
এছাড়া ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদ ও তাদের প্রতিনিধি আজকের যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭/আপডেট: ১৮২২
এজেড/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।