পুলিশসহ আহত সবাইকে উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মিরাজুল ইসলামের নামে সম্প্রতি দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে তার সমর্থকরা দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় মিছিলটি সাঁথিয়া পৌর এলাকা ঘুরে বাজার এলাকায় গেলে দলীয় প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়েন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষ দুই পাশে অবস্থান নিয়ে পাল্টাপাল্টি ইট-পাটকেল ও গুলি ছোড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ এবং শর্টগানের ১৮ রাউন্ড গুলি ও ১২ রাউন্ড টিয়ার শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে, সংঘর্ষের সময় মারুফা খাতুন নামে এক পথচারী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন হায়দার সান গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া এসময় দুই পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হন।
ফের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সাঁথিয়া বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন হায়দার সান বলেন, মেয়র মিরাজের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিলসহ আমার বাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও গুলি ছোড়েন। এ সময় আমার লোকজনও তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়েন। একপর্যায়ে আমার পায়ে গুলি লাগলে আমার লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেয়র মিরাজের সমর্থকরা আমার ব্যক্তিগত কার্যালয় পুড়িয়ে দেন। তারা আবারো সাঁথিয়ায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করছেন।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে সাথিয়া পৌর মেয়র মিরাজুল ইসলাম বলেন, সানের লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছেন। দলীয় প্রভাব বিস্তার করে মামলা হামলার মাধ্যমে আমাদের কোণঠাসা করতে চান তিনি। আমি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছি। মূল বিষয় বুঝতে পারছি না। তবে সান নিজেই এসব অপকর্ম করে আমার কর্মী সমর্থকদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
এসআই