টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলি মনিরুল ইসলাম খান জানান, প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ এর বিচারক আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে মঙ্গলবার শুনানি গঠনের তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ আদালতকে জানিয়েছেন এমপি রানা সোমবার বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর এমপি রানা গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর এই আদালতেই আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আছেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ টাঙ্গাইলে তাঁর কলেজপাড়া এলাকায় বাসার সামনে পাওয়া যায়। ঘটনার তিন দিন পর নিহতের স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।
প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলার তদন্ত শুরু করে। ২০১৪ সালের আগস্টে এ মামলার আসামি আনিসুল ইসলাম ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ আলী গ্রেফতার হন। আদালতে তাদের স্বীকারোক্তিতে এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তাঁর তিন ভাইয়ের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে।
এরপর থেকে আমানুর ও তাঁর ভাইয়েরা আত্মগোপনে চলে যান।
গত বছর ৩ ফেব্রুয়ারি আমানুর, তাঁর তিন ভাই জাহিদুর রহমান খান কাকন, সহিদুর রহমান খান মুক্তি ও সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। গত ৬ এপ্রিল আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
আরএ