বুধবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রায় ১৪ বছর পর বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) এ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন ২০০২ সালের ২৩ জুন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে আজমল হোসেনকে সভাপতি ও শহিদুল ইসলামকে (লেবু) সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
২০০৫ সালে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি শামসুর রহমান খানের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিরোধ শুরু হয়। তখন উপজেলা কমিটি ভেঙে দিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন খানকে আহ্বায়ক করে কমিটি করা হয়। সেই কমিটি তিন বছরেও সম্মেলন করতে পারেনি। এজন্য ২০০৮ সালে কমিটি ভেঙে শহিদুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়।
অন্যদিকে, সংসদ সদস্য শামসুর রহমান খানের অনুসারীরা নজরুল ইসলাম খানকে (সামু) আহ্বায়ক করে পাল্টা কমিটি করা হয়। শহিদুলের নেতৃত্বাধীন কমিটিকে ওই আসনের সাবেক এমপি মতিউর রহমান এবং নজরুলের নেতৃত্বাধীন কমিটিকে শামসুর রহমান সমর্থন করতেন। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে শামসুর রহমান ও এমপি মহিউর রহমান মারা যান।
পরে শূন্য আসনের উপ-নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পান শহিদুল ইসলাম। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শামসুর রহমানের ভাতিজা জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমানুর রহমান খান রানা বিদ্রোহী প্রার্থী হন। এজন্য রানা ও তার অনুসারীদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু আমানুর বিজয়ী হওয়ার পর তাদের আবার দলে নেওয়া হয়।
পরে ২০১৪ সালে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় এমপি রানা আত্মগোপনে চলে যান।
তখন উভয়পক্ষের সমন্বয়ে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। এ কমিটিতে রানার সমর্থক নজরুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং শহিদুল ইসলামকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়। কিন্তু তারাও সম্মেলন করতে পারেননি। পরে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর এই কমিটি ভেঙে শহিদুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ৪১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৭
এজি/এসআই