বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআরআই) কনফারেন্স রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিথিংকিং পলিটিক্যাল ডেভলপমেন্ট: সিকিউরিটি অ্যাণ্ড ফ্রিডম বেইজড অন জাস্টিস কনফারেন্সের আয়োজন করে পিআরআই।
খালেদা জিয়া নির্বুদ্ধিতার জন্য কোথায় হারিয়ে গেছেন উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, তখন (৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে) মন্ত্রী পরিষদ ভেঙে দেওয়া হলো। কে মন্ত্রী থাকবে বা কে থাকবে না তার কোনো ঠিক ছিল না। সেই সময়ে তিনি (খালেদা জিয়া) যদি নির্বাচনে আসতেন তাহলে তিনি ক্ষমতায় আসলেওতো আসতে পারতেন। আর আসলে বিরোধী দল হিসেবে সংসদে তো থাকতেন। এটাকে নির্বুদ্ধিতা বলবো নাতো কি বলবো।
স্থানীয় সরকার কাঠামো পরিবর্তনের প্রতি গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে বা আরো বাড়াতে হলে স্থানীয় সরকারের দায়িত্ব, কাঠামো ও অর্থায়নে বড় পরিবর্তন আনতে হবে। যেটা করা রাজনৈতিক নেতৃত্বের একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, জেলা পরিষদে এমন ক্ষমতা দিয়ে দিতে হবে যেটা অন্যান্য দেশের প্রাদেশিক সরকারের থাকে। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের কো-অর্ডিনেশন ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না।
ডি-সেন্ট্রালাইজেশন করলাম আবার নিয়ে নিলাম এটা করলে হবে না। তাদেরকে দায়িত্বটা দিয়ে দিতে হবে যোগ করেন মন্ত্রী।
আর এ কাজ করতে গেলে স্থানীয় পর্যায়ে কি হবে এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কি হবে এই দুটি বড় সমস্যা রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডার্ড অথরিটির (আইপিএসএ), আরসি ৩৭ এর সভাপতি অধ্যাপক জিল্লুর আর খান কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এছাড়া এতে উপস্থিত ছিলেন- আয়োজক সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান ড. সফিক আহমেদ, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. আহসান এইচ মনসুর, এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের সদস্য ড. তাজিন মুর্শিদসহ আরো অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৭
এমএইচকে/বিএস