নির্মলেন্দু একই সঙ্গে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ খাগড়াছড়ি শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি এবং সনাতন সমাজকল্যাণ পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা এ ঘটনায় বহিষ্কৃত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহেদুল আলম এবং তার ছোট ভাই খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলমকে দায়ী করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, দুপুরে জেলা শহর থেকে নারিকেল বাগান যাওয়ার পথে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাহেদুল ও রফিকুলের সমর্থকরা নির্মলেন্দুর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী একটি ঘরে আশ্রয় নিতে গেলে সেখান থেকে ধরে এনে আবারও তাকে মারধর করে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে রফিকুল নিজে নির্মলেন্দুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নয়ন ময় ত্রিপুরা বাংলানিউজকে বলেন, নির্মলেন্দুর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নাক দিয়েও রক্তপাত হয়েছে। তবে যেহেতু তিনি কোনো কথা বলতে পারছেন না তাই আমরা তার সঠিক চিকিৎসা দিতে পারছি না। এ কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত পৌর মেয়র রফিকুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে অভিযুক্ত জাহেদুল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।
এদিকে, হামলার প্রতিবাদে খাগাড়ছড়ি শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা জাহেদুল এবং রফিকুলকে গ্রেফতারের দাবি জানান। বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা এসময় দু’টি দোকানও ভাঙচুর করে।
এদিকে, নির্মলেন্দুর ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের খাগড়াছড়ি শাখার সাধারণ সম্পাদক তরুণ কুমার ভট্টাটার্য। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হান্নান মোহাম্মদ তারেক বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় কারা জড়িত এ ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি। আহত ব্যক্তির পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৭
আরবি/আরএ