রোববার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে বক্তারা বলেন, কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা না হলে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবে নেতা-কর্মীরা।
এদিন পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে নগরীর মালোপাড়ার দলীয় কার্যালয়ের নিচে ‘রাজশাহী বিএনপি রক্ষা কমিটি’ এ কর্মসূচি পালন করে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিকেলে নেতা-কর্মীরা ভুবন মোহন পার্কে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ বাধা দিলে তারা দলীয় কার্যালয়ের নিচে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
বক্তারা বলেন, রাজশাহী বিএনপি’র ইতিহাস লিখতে হলে সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনুর অবদান বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। দলের চেয়ারপারসনকে ভুল বুঝিয়ে যারা তাকে বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করেছেন- তারা বিএনপির ভালো চায় না। তারা রাজশাহী, রংপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুই কেন্দ্রীয় নেতার অধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। কিন্তু রাজশাহীর নেতাকর্মীরা তা হতে দেবে না।
রাজশাহী বিএনপি রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক নজরুল হুদার সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব সাইদুর রহমান পিন্টু, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, মতিহার থানা বিএনপির সভাপতি আনসার আলী, শাহ মুখদম থানা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু প্রমুখ।
সাত বছর পর গত ২৭ ডিসেম্বর কেন্দ্র থেকে রাজশাহীর বরখাস্তকৃত মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে সভাপতি ও শফিকুল হক মিলনকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে মহানগর বিএনপি কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া তোফাজ্জল হোসেন তপু ও মতিউর রহমান মন্টুকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা কমিটি গঠন করা হয়।
এই কমিটিতে ঠাঁই হয়নি আগের কমিটির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর। এ কারণে নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে মিনুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নেতা-কর্মীরা লাগাতার কর্মসূচি পালন করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ জানুয়ারি বুলবুল-মিলন কমিটি বাতিলের দাবিতে ‘রাজশাহী বিএনপি রক্ষা কমিটি’ গঠন করেন তারা। এর আগে তারা মহানগরীর মালোপাড়ার কাবিল ম্যানসনে থাকা দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
এসএস/আরআইএস/এটি