এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন হবে। বিএনপি এই কমিশনকে অস্বীকার করেনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া দুইটার সময় মেহেরপুরের গাংনীতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মেহেরপুর জেলা শাখা আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির হুমকিতে জনগণ সাড়া দেবেনা উল্লেখ করে রাশেদ খান মেনন বলেন, খালেদা জিয়া বা আমি অথবা যেই হোক অপরাধীরা আইনের চোখে সমান। তারা সবাই আইনের আওতায় আসবে।
খালেদা জিয়ার গ্রেফতার ও জেল প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান মেনন বলেন, খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার বা জেলে নেওয়া হলেও দেশের অবস্থা স্বাভাবিক থাকবে। বিএনপির কোন সাংগঠনিক শক্তি নেই। যা দিয়ে তারা এই নির্বাচনকে প্রতিহত করতে পারবে।
নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন কঠোর করার জন্য সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের যে বিধান অনুযায়ী আইন করা প্রয়োজন। সময় না থাকার কারণে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নাম নিয়ে রাস্ট্রপতি বিভিন্ন বুদ্ধিজীবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষভাবেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আওয়ামী লীগের, বিএনপির এ দাবিকে যুক্তিহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার সারাজীবন চাকরি করেছেন। তিনি বিসিএস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের লোক। আমাদের দেশের নির্বাচন কমিশনার সাধারণত অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকেই হয়ে থাকেন।
এসময় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ব্যুরো সদস্য কমরেড আনিছুর রহমান মল্লিক, কমরেড নুর আহমেদ বকুল, অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, অধ্যাপক ইয়াছিন আলী এমপি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মেহেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কমরেড আব্দুল মাবুদ, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক সিরাজুল ইসলাম, সুজন সভাপতি অধ্যাপক আব্দুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ, পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান ও গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ উজ জামান, গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন স্বাগত জানান ও কুশল বিনিময় করেন।
পরে বিকেল ৪টার সময় মেনন গাংনী হাইস্কুল মাঠে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
আরএ