তিনি বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের পর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। কিন্তু সেটা আলোর মুখ দেখেনি।
হাফিজ আরো বলেন, ওই সময় ষড়যন্ত্রকারীরা একে একে পালিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু সরকার তাদের জামাই আদর করে সরকারের উচ্চপদস্থ পদে বসিয়ে দিলেন। আর তারাও সাহস পেয়ে গেলো। সে সময় সরকারের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা সঠিক পদক্ষেপ নিলে একটি প্রাণও নষ্ট হতো না।
এসব ঘটনার দায়ভার আমাদের সবাইকে নিতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকলে এমন অবস্থা হয়। দেশে আইনের শাসন নেই। সেজন্যই আমরা ধীরে ধীরে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা ভারতের সাথে আজীবন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে চাই। কত প্রসঙ্গেই তাদের সাথে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রীও বক্তব্য রাখেন। কিন্তু তিস্তার পানি, গঙ্গার পানি নিয়ে তাকে (প্রধানমন্ত্রীকে) কোন বক্তব্য রাখতে শুনি না।
এ সময় নেতাকর্মীদের সংগ্রামের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গোলটেবিল আলোচনায় আসলে কিছুই হয়নি। রাষ্ট্রের যত উন্নয়ন সব সংগ্রামের মাধ্যমে হয়েছে। আসুন রক্ত দিয়ে হলেও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সংগ্রাম শুরু করি।
২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ৮ম বার্ষিকী উপলক্ষে "বিডিআর হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব" শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি।
বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়াঁ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আমিনুর রহমানসহ বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭
জেডএফ/আরআই