ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদা-গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন পিছিয়ে ২ আগস্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৩ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৭
খালেদা-গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন পিছিয়ে ২ আগস্ট

ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে কটূক্তির মাধ্যমে মানহানির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন পিছিয়ে আগামী ০২ আগস্ট পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) মামলাটিতে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য থাকলেও কোনো প্রতিবেদন দেয়নি পুলিশ। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মাসুদ জামানের আদালত পরে নতুন দিন ধার্য করেন।

গত বছরের ০৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ১০০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে সিএমএম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি তো (বঙ্গবন্ধু) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন’।

খালেদা আরও বলেন, ‘আজকে বলা হয়, এতো শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে’।

অন্যদিকে গত বছরেরর ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা পাকিস্তানের বেতন-ভাতা খেয়েছেন, তারা নির্বোধের মতো মারা গেলেন। আমার, আমাদের মতো নির্বোধেরা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তাদের ফুল দেই, আবার না গেলে পাপ হয়। তারা (শহীদ বুদ্ধিজীবী) যদি বুদ্ধিমান হতেন, তবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজ ঘরে থাকলেন কেন?’।
    
এসব বক্তব্য পরদিন বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। যেহেতু ওই বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে কটাক্ষ করে এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবদান ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, সেহেতু তা বাদীর জন্য মানহানিকর বলেও অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৭
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।