ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ভুয়া জন্মদিন পালন বন্ধ হলে সংলাপের পরিবেশ হবে

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১৭
ভুয়া জন্মদিন পালন বন্ধ হলে সংলাপের পরিবেশ হবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বিএনপি চেয়ারপারসনের খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালন যদি বন্ধ হয় তাহলে সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে (টিএসসি) এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সমাজ কল্যাণ পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা সংলাপের জন্য পরামর্শ দেন তারা আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালন বন্ধ করার কথা বলুন। তিনি যদি ভুয়া জন্মদিন পালনের জন্য ক্ষমা চান এবং এবারেও জন্মদিন পালন করবেন না, ভবিষ্যতেও পালন না করার প্রতিশ্রুতি দেন তাহলে সংলাপের পরিবেশ হবে।

নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের এ নেতা বলেন, এখনো তাদের কাছে আতংকের নাম শেখ হাসিনা। নির্বাচন হবে কমিশনের অধীনে। শেখ হাসিনার অধীনে নয়। পৃথিবীর অন্য দেশে যে রকম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশেও এর ব্যত্যয় ঘটবে না।

বিএনপিকে হিটলারের প্রেতাত্মা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আমাদের হিটলার বলে। কিন্তু তারা পাঁচ বছরে আমাদের প্রায় ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করে। এটি প্রমাণ করে আপনারাই হিটলার।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, শুধু চোখের জল ফেলে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে লাভ নেই, যদি না আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে জীবনে ধারণ না করি, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা পড়ার কি আমাদের ধৈর্য আছে? আবেগে বঙ্গবন্ধু প্রেমী না হয়ে চেতনায় বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করতে হবে। কারণ বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি বিষয় প্রাসঙ্গিক।

শোকের মাসে ব্যানার নিয়ে আত্মপ্রচার না করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকে উপলক্ষ করে নিজেকে প্রচারের জন্য বড় বড় ব্যানার করা হচ্ছে। এ ধরনের প্রবণতা থেকে দূরে থাকতে হবে। শোকের মাসের নাম করে চাঁদাবাজি করা যাবে না।

সংগঠনের সভাপতি শামসুল হক ভূইয়া এমপির সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান।

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা। হত্যাকারীরা চেয়েছিল তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে নির্বাসনে পাঠাবে। কিন্ত তারা বঙ্গবন্ধুকে আমাদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিতে পারে নাই। কারণ বঙ্গবন্ধু সবসময় আমাদের সঙ্গে আছেন। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি, দর্শন ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করতে হবে।

ড. মশিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গঠনে দূরদর্শী ভূমিকা রেখেছেন। যেই নেতৃত্ব বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আমরা তাদের ক্ষমতায় দেখতে চাই। যেই নেতৃত্ব বাংলাদেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাবে আমরা তাদের ক্ষমতায় দেখতে চাই না।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এসএম বাহালুল মজনু চুন্নু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ, সংগঠনের ঢাবি শাখার সভাপতি ড. অসীম কুমার সরকার, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৭
এসকেবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।