মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার চণ্ডিপুর ইউনিয়নের চণ্ডিপুর গ্রামের চণ্ডিপুর ফুটবল খেলার মাঠে তৃতীয় জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
তৃতীয় জানাজায় ইমামতি করেন প্রয়াত এমপি গোলাম মোস্তফার ভাগিনা হাফেজ মাওলানা মো. মাজহারুল হান্নান।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
প্রয়াত এমপি গোলাম মোস্তফা আহমেদের প্রথম নামাজে জানাজা দুপুর ১২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়। এরপর হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ গাইবান্ধায় পৌঁছার পর বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে গাইবান্ধা থেকে সুন্দরগঞ্জের চণ্ডিপুর ফুটবল খেলার মাঠে তার মরদেহ আনা হয়। সেখানে রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান। পরে সেখানে তার তৃতীয় জানাজা শেষে মরদেহ বাড়ির আঙিনায় দাফন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, গোবিন্দগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, জেলা প্রশাসক (ডিসি) গৌতম চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম গোলাম কিবরিয়া, পৌর মেয়র আব্দুল্যা আল মামুন প্রমুখ।
এছাড়া জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
১৮ নভেম্বর ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার নাটিয়াপাড়ায় বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে আহত হন এমপি মোস্তফা। এরপর তিনি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন। এরপর ২২ মার্চের নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন গোলাম মোস্তফা আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
আরবি/