ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে বোদা পৌরসভা নির্বাচন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে বোদা পৌরসভা নির্বাচন বোদা পৌরসভা

পঞ্চগড়: দীর্ঘ ১৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পঞ্চগড় জেলার বোদা পৌরসভার নির্বাচন।

আগামী ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচনকে ঘিরে নতুনরূপে সেজেছে পৌর সদর। তাই ভোটার এবং প্রার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হতে চলেছে এ পৌরবাসীদের।

প্রার্থীদের ছবি সম্বলিত ছোট-বড় পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেট, হ্যান্ডবিলে ছেয়ে গেছে পৌরসভার প্রতিটি অলি-গলি। ছুটে চলেছেন ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে প্রার্থিতারাও। নিজের প্রার্থিতা প্রচারের পাশাপাশি নানা উন্নয়ন ও সেবামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্বাস দিচ্ছেন তারা।

ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রথমবার মেয়র পদে এলাকার উন্নয়নে পারদর্শী, সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে চান তারা। এজন্য প্রতীকের পাশাপাশি প্রার্থীর ব্যক্তিগত যোগ্যতাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

নির্বাচনে মেয়র পদে সরকার দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান সূজা। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ২০ দলীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হকিকুল ইসলাম মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী হাতপাখা প্রতীক নিয়ে রফিকুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপরদিকে ধানের শীষের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্রভাবে মেয়র পদে নারিকেল গাছ মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন হাসান।

অন্যদিকে ৯টি ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে ৬০ জন, সংরক্ষিত মহিলা তিনটি ওয়ার্ডের জন্য ২৪ জন নারী প্রার্থী হয়েছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতার হোসেন হাসান বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা মানছেন না। এখন পর্যন্ত আশঙ্কাজনক কিছু না ঘটলেও কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান সূজা বলেন, এখানে শান্তিপূর্ণ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনই হবে। এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। আর আমি কোনো নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করছি না।

২০ দলীয় ঐক্য জোটের প্রার্থী হকিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। আমরা কোথাও উঠান বৈঠক করতে গিয়ে বক্তব্য রাখার সময় পাশ দিয়ে উচ্চ স্বরে স্লোগান নিয়ে মিছিল করে আমাদের উঠান বৈঠকে বিড়ম্বনা সৃষ্টি করছে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর কর্মীরা। পৌরবাসী যদি স্বাধীনভাবে তাদের মতামত ভোটের মাধ্যমে ব্যক্ত করতে পারে তাহলে ধানের শীষের জয় নিশ্চিত।

সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে বোদা উপজেলা সদরকে পৌরসভায় উন্নীত করা হয়। পার্শ্ববর্তী আটোয়ারী উপজেলার সাতখামার ও কুরুলিয়া দু’টি মৌজাকে বোদা পৌরসভার আওতাভুক্ত করা হয়। পৌরসভা গঠনের পর দু’বার নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে আদালতের আদেশে নির্বাচন স্থগিত হয়। সীমানা জটিলতা নিরসনের পর ইসি আগামী ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেয়।

পৌরসভা গঠনের পর থেকেই বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব আর বোদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের তিনজন সদস্য দীর্ঘ ১৭ বছর বোদা পৌরসভার কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।