ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আদালতে খালেদা জিয়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৮
আদালতে খালেদা জিয়া আদালতে খালেদা জিয়া/ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে এসেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা হয়ে ১১টা ৪০মিনিটে বকশীবাজার বিশেষ আদালতে উপস্থিত হন বিএনপি চেয়ারপারসন।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে ষষ্ঠ দিনের মত অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন বিশেষ জজ আদালত ৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন।  

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার পরবর্তী যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আজ বুধ ও বৃহস্পতিবার (৩ ও ৪ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।  

দু’টি মামলায়ই যুক্তিতর্ক উত্থাপনের দিন ধার্য থাকলেও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় যুক্তিতর্ক চলছে। খালেদা জিয়ার পক্ষে গত ২০, ২১, ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর তার আইনজীবীরা যুক্তি উত্থাপন করেছেন।

বর্তমানে সাবেক এটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী যুক্তি উত্থাপন করছেন। এর আগে অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন যুক্তি উত্থাপন করেছেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটির যুক্তিতর্ক এখনও শুরু হয়নি।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা দু’টির প্রধান আসামি খালেদা জিয়া।

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন, খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন। জামিনে থাকা অন্য দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

অন্যদিকে অরফানেজ মামলায় খালেদা জিয়াসহ মোট আসামি ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। বাকিরা জামিনে আছেন।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করা হয়।

অন্যদিকে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৮
এএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।