বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাতে নগরের আলেকান্দা নূরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
মহানগর ছাত্রলীগের নেতা তারিকুল ইসলাম কানন জানান, ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাত ১২টা ১ মিনিটে বরিশাল নগরের দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকার নূরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলার সেমিনার কক্ষে কেক কাটার আয়োজন করা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষ মহানগর ছাত্রলীগের নেতা রইচ আহমেদ মান্নার নেতৃত্বে একটি মোটরসাইকেল বহর নিয়ে বেশ কিছু লোকজন বিদ্যালয়ের সামনে আসে। পরে তারা বিদ্যালয়ের ভেতরে গিয়ে সেখানে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের আয়োজন স্থলের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেকটি ফেলে দেয় তারা।
তিনি আর জানান, হামলাকারীদের হাতে লাঠিসোটা ও অস্ত্র থাকায় কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করলে আমাকে ও ছাত্রলীগের কর্মী মেহেদীকে মারধর করে তারা।
স্থানীয়রা জানান, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নূরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জসিমউদ্দিন বিদ্যালয়ের বাহিরে অবস্থান করছিল। হামলা-ভাঙচুর শুরু হলে তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে তার অনুসারীরাও পাল্টা অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করে। হামলাকারীরা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় তা আর হয়ে ওঠেনি।
হামলার বিষয়ে মহানগর ছাত্রলীগের নেতা মান্নার বক্তব্য জানতে তার মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরাফাত হাসান বাংলানিউজকে জানান, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে কারা হামলা করেছে সে বিষয়টি জানা নেই। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৮
এমএস/আরআইএস/