ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক যাচাই-বাছাই শেষে করা হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক যাচাই-বাছাই শেষে করা হবে

ঢাকা: আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক যাচাই-বাছাইয়ের পর নির্বাচন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

তিনি বলেন, ফেসবুকে যেটা বেরিয়েছে সেটা আওয়ামী লীগের অনুমোদিত কোনো তালিকা নয়। এটা নিয়ে কোনো বিক্ষোভ মিছিলও হয়নি।

যাচাই-বাছাই করে দলের ত্যাগীদের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক করা হবে- এটা আমি বলার পর তারা আনন্দ মিছিল করেছে।

রোববার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক নিয়ে সাবেক ছাত্রনেতাদের বিক্ষোভের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।  

মন্ত্রী বলেন, আমি তাদের বলেছি তোমরা ফেসবুকে যেটা দেখেছো সেটা তো কোনো অনুমোদিত তালিকা না। আমরা তো উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ঘোষণা দেইনি। প্রস্তাবিত তালিকা করা হয়েছিলো। তালিকা দেওয়ার আগে সভাপতির অনুমতি নিয়ে সাধারণ সম্পাদক সাক্ষর করেন। আমি তো সেখানে সাক্ষর করিনি। এটা প্রস্তাবিত খসড়া তৈরি করে সম্পাদকদের কাছে দেওয়া হয়েছিলো সেটা ঠিক আছে কিনা দেখার জন্য। সেখান থেকে হয়তো এগুলো বেরিয়ে থাকতে পারে।

তিনি বলেন, যাচাই-বাছাই করে সহ-সম্পাদক করা হবে। এটা শোনার পর সাবেক ছাত্রনেতারা যারা এসেছিলো তারা খুশি হয়ে আনন্দ মিছিল করেছে। তারা বিক্ষোভ করেনি, বিক্ষোভ করলো কোথায়। তারা এসেছিলো আমার কাছে জানতে। আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমার কাছে কি নেতাকর্মীরা আসেত পারবে না।   

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি বলেছি তিন মাসের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে নতুন সহ-সম্পাদক দেওয়া হবে। বিভিন্ন সম্পাদকীয় বিভাগে ৩ থেকে ৫ জন করে সহ-সম্পাদক করার বিধান রয়েছে। মোট ৯৫ জন সহ-সম্পাদক করা হবে। সম্পাদকদের কাজের সুবিধার জন্য সহ-সম্পাদক করা হয়। আমাদের দলের সভাপতির (শেখ হাসিনা) সঙ্গে আলোচনা করে ওনার মতামত নিয়ে এটা করা হবে।  

‘উপ-কমিটি তো বাতিল করা হয়নি। এখানে উপ-কমিটির সদস্য আছে। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিদের উপ-কমিটির সদস্য করা হয়। সমস্যা হয়েছে সহ-সম্পাদক নিয়ে। বিষয়টি জানানোর জন্য সাবেক ছাত্রনেতারা গতকাল (শনিবার) আমার কাছে এসেছিলো। আমি তখন অজু করে নামাজ পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। নামাজ পড়ে আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। অথচ মিডিয়াতে আসলো, দেখলাম আমি নাকি অবরুদ্ধ। আমি অজু করে নামাজ পড়েছি, তখন দরজা বন্ধ ছিল। আমি কি নামাজ পড়া বাদ দিয়ে দরজা খুলবো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮ 
এসকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।