ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগের জ্বালা বেশি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগের জ্বালা বেশি আলোচনা সভায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন-ছবি-শাকিল আহমেদ

ঢাকা:  বিএনপি তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে জ্বালা বাড়ছে আওয়ামী লীগের। কেননা তারা ষড়যন্ত্র করে আমাদের ফাঁসানোর কোনো সুযোগ পাচ্ছে না। 

রোববার (২৫ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ চেয়েছিলো খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে পাঠানোর পর বিএনপি রাজপথে আন্দোলনে নেমে জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি নেবে।

আর সেই সুযোগে আওয়ামী লীগ তাদের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত রেখেছিলো পেট্রোল ও লাঠিসোটা নিয়ে। তারা নিজেরা বিশৃঙ্খলা ঘটিয়ে বিএনপির উপর দোষ দেওয়ার এই মতলব আমরা টের পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই আমরা চেয়ারপারসনের নির্দেশে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পথে নেমেছি। তবে এতে আওয়ামী লীগের জ্বালা বেড়ে গেছে। কেননা তাদের ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। তাই তারা বিভিন্ন রকমের মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের আটক করে কারাগারে পাঠাচ্ছে।

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে খন্দকার মোশাররফ বলেন, তাকে ছাত্র রাজনীতিতে এনেছিলাম আমি। তাই আমি জানি বেশি কথা বলার সময় মাঝেমধ্যে তিনি কয়েকটা সত্য কথাও বেফাঁস বলে ফেলেন। বেশি কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, পৃথিবীর কোথাও নির্বাচনের আগে নির্দলীয় সরকার গঠনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের নজির নেই। আমি পৃথিবীর নজিরের কথা বাদ দিলাম। বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনের ইতিহাস কি তিনি জানেন না? জানলে এরকম উক্তি কিভাবে উচ্চারণ করেন? 

জাতিসংঘের ঘোষণা অনুসারে আগামী ৬ বছর পর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশকে এখনই উন্নয়নশীল দেশ বলে ঘোষণা দেয়নি। কিছু শর্ত আছে সেগুলো পালন করার পর আগামী ৬ বছর পরে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে পারে। কিন্তু সরকার এখন এ নিয়ে তথ্য প্রকাশ করে জনগণকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলছে।  

সংগঠনটির সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবু খায়ের ভূঁইয়া, ড. মনিরুজ্জামান মনির, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিম, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, শাহরিয়া ইসলাম সায়রা, এস এম জাহাঙ্গীর আলম, ফরিদ উদ্দীনসহ প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
এমএএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।