বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের চিরকাল ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন মানেই ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আসতে না দেওয়া। তিনি গণতন্ত্রকে ঘৃণা করেন। একতরফা নির্বাচন করবেন বলেই তিনি প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দি করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। সমালোচনাকারী বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম ও ক্রসফায়ার করতেও দ্বিধা করেন না। শেখ হাসিনার অধীনে কখনই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
রিজভী বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরদের অধীনে ভোটারবিহীন বাকশালী নির্বাচন ঠেকাতে জনগণের শক্তির বিপুল উদগীরণ হচ্ছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের দিনে দলের সিনিয়র নেতাদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি। অনেক দেরিতে কারা ফটকের বাইরে আত্মীয়-স্বজনদের অপেক্ষা করিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দেখা করতে দিলেও বাসা থেকে সঙ্গে আনা রান্না করা খাবার তাকে দেওয়া হয়নি। সকাল থেকে না খেয়ে অভুক্ত অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপারসন অপেক্ষা করছিলেন স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে আহার করবেন, অনেকদিন পর প্রিয় নাতনীকে সঙ্গে নিয়ে খাবেন। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ সরকারকে খুশি করতেই খাবার নিতে দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, এমন অমানবিক দৃশ্য দেখে আত্মীয়-স্বজনরা কাঁদতে কাঁদতে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সরকার যে অমানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা শুধু মনুষ্যত্বহীনতায় নয়, তা অবৈধ ক্ষমতার অনমনীয় হিংস্রতার একটি ভয়াবহ রূপ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৮
এমএইচ/আরআর