বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কেউ কিছু বলেননি। চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ পরবর্তী করণীয় নিয়ে তারা বসেছিলেন।
জানতে চাইলে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা নিজেরা ঈদের পরে বসেছিলাম। এটা আসলে আপনাদের মিডিয়ায় জানানোর মতো কিছু না। সেরকম কিছু আলোচনাও হয়নি। শুধু ঈদ পরবর্তী একসঙ্গে বসা বলতে পারেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।
সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি, দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ, আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব সিদ্ধান্ত জানানো হতে পারে।
৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর থেকে তিনি নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। তার মুক্তির জন্য গত ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপির আইনজীবীরা। কিন্তু একের পর এক মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর কারণে মুক্তি মিলছে না দলীয় প্রধানের। এ অবস্থায় আগামী দিনে কি ধরনের কর্মসূচি দেওয়া যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৮
এমএইচ/এএ