বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে শনিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে আনার পর এমন পরিস্থিতি হজম করতে হয় রোগী ও তার স্বজনদের।
খালেদা জিয়াকে বিএসএমইউতে আনা হয় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে।
তাদের দমাতে পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর বাঁশির সংকেত বেজে চললো পাল্লা দিয়েই। এতে বিকট শব্দ দূষণে এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো, যেন রাজপথের কোনো সভা-সমাবেশে গণ্ডগোল লেগে গেছে। শব্দের তীব্রতা এতো হতে থাকলো যে, স্বাভাবিক মানুষের কানেই তা অসহ্য লাগতে থাকলো।
অথচ এ প্রাঙ্গণটি যে হাসপাতালের, তা যেন কারোরই আমলে নেওয়ার বিষয় নয়। দলের প্রধানকে হাসপাতাল প্রাঙ্গণেই স্লোগানে মুখরিত করে স্বাগত জানালেন ‘নেতাকর্মীরা’। বিএনপি নেতাকর্মীদের স্লোগান আর তাদের নিরাপদ দূরত্বে রাখতে নিরাপত্তা বাহিনীর সতর্কতামূলক বাঁশি, চললো প্রায় লম্বা সময় ধরে। সাধারণ রোগীদের অসহায়ত্ব তখন যেন নিয়তির বিধান।
এদিকে দুপুর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের অবস্থানের কারণে কেবিন ব্লকে দশ-এগারো তলার পোস্ট-অপারেটিভ রোগীদেরও পড়তে হয় বিপত্তিতে। কারণ অনেক রোগীকেই অপারেশনের পর রিকভারিতে বাড়তি সময় রাখতে হয়েছে।
নিউরোসার্জারির কর্মচারী মো. মামীন তাই ট্রলি নিয়েই ঘণ্টাখানেক আটকে থাকলেন কেবিন ব্লকের নিচে। আব্দুল আওয়াল নামের এক পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিকে দেখা গেলো হাতে ওষুধ নিয়ে ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি করছেন, আর বলছেন, ‘আমাকে যেতে দাও রোগীর আপারেশনের ওষুধ নিয়ে যাবো’। কিন্তু তার চিৎকার কার কানে লাগে এই স্লোগানের ঢেউয়ে!
এতো হই-হুল্লোড়, চিৎকার-চেঁচামেচি দেখে হাসপাতাল কর্মচারী মো. মামীনের মুখ থেকে শোনা গেল, ‘এটা কি হাসপাতাল, না রাজনীতির ময়দান’!
বাংলাদেশ সময়: ২২২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৮
ইইউডি/এইচএ/
** ডাক্তার মামুন কই? জানতে চাইলেন খালেদা