রোববার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর পল্লবী এলাকায় হারুন মোল্লা ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত এক গণসংযোগ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন বিএনপির চোখে পড়ে না।
‘এখন সবার হাতে মোবাইল। কৃষক, রিকশাওয়ালা, দিনমজুরসহ সকলের কানে মোবাইল। কে দিয়েছে এই মোবাইল, ইন্টারনেট? এখন আমাদের নিজস্ব স্যাটেলাইট হয়েছে। ডিজিটালভাবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এতে ভূমিকা রাখছেন বঙ্গবন্ধুর নাতি জয়। সেই জয়কে আপনারা (বিএনপি) ভয় পান। ’
বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনারা মায়ের পেট থেকেই যেনো সন্ত্রাস জন্ম দেন। অথচ আওয়ামী লীগের উন্নয়নে অবদানে আজ সন্তানের বৃত্তির টাকা মায়েরা পাচ্ছে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা এখন সবাই মোবাইল ফোনে পায়। ’
‘প্রতিটি ইউনিয়েন ডিজিটাল সেবা দেওয়া হচ্ছে। বছরের প্রথম দিন বিনা পয়সায় পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে যায় শিক্ষার্থীদের কাছে। এই ঢাকা শহর বিএনপি আমলে কি ছিলো আর এখন সেখান থেকে কতটা এগিয়ে গেছে, তা দেখতে আপনারা চশমা লাগান। ’
ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। আগে মাগরিবের নামাজের সময়, ইফতারের সময়, সেহেরির সময় খালেদা চলে যেতেন! এই খালেদা মানে কি? খালেদা গেলো মানে বিদ্যুৎ চলে গেলো। আর কিছুদিন পর বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাবে।
‘আপনারা বলেন- আন্দোলনের কথা বলেন গত ১০ বছর ধরে। ঈদের পর আন্দোলন। ঈদ আর আসে না। দেখতে দেখতে ১০ বছর পার হয়ে গেলো। কবে হবে আন্দোলন? ঈদ তো আর আসে না। সবাই দেখেছে, বিএনপির আন্দোলন- ‘ভুয়া.ভুয়া.. ভুয়া...!’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা কামাল হোসেনের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ড. কামাল হোসেন সাহেব, আজ আপনি কথায় গেলেন? খুনি সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে হাত মেলালেন! তারেক রহমানের নেতৃত্ব আপনি মেনে নিয়েছেন। এটা- লজ্জা, লজ্জা, লজ্জা। আমরা আপনার সঙ্গে অসম্মানের সহিত কথা বলবো না, তবে আমরা আপনাকে সাবধান করে বলতে চাই, আপনি বহুরূপী শয়তানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।
‘কামাল হোসেন সাহেব বঙ্গবন্ধুর সহকর্মী হয়ে তার খুনিদের সঙ্গে যারা হাত মিলিয়েছেন, যারা যুদ্ধপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, যারা স্বীকৃত সন্ত্রাসী, তাদের সঙ্গে হাত মেলানোর ফল আপনাকে একদিন পেতেই হবে। ’
ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে এই গণসংযোগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ের শীর্ষ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
এইচএমএস/এমএ