ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গঠনতন্ত্র বিষয়ে উচ্চ আদালতের আদেশ অগ্রহণযোগ্য: ফখরুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৮
গঠনতন্ত্র বিষয়ে উচ্চ আদালতের আদেশ অগ্রহণযোগ্য: ফখরুল বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দলের সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করার বিষয়ে উচ্চ আদালতের দেয়া আদেশ গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

উচ্চ আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পর বুধবার (৩১ অক্টোবর) রাত পৌনে ১০টায় গুলশানে চেয়ারপারনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে একথা বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বিস্মিত হয়েছি এজন্য যে- একটি রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র নিয়ে একটা রিট পিটিশনের আদেশ একেবারেই নজিরবিহীন।

একটা রাজনৈতিক দল গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চলে, সেই গঠনতন্ত্র যেটা থাকে সেটাই চূড়ান্ত। আইনজীবীদের মতে, এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক বিষয়। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজনৈতিকভাবে বিরোধী দলকে মোকাবেলা না করে তারা সম্পূর্ণভাবে আদালতকে ব্যবহার করে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার যতগুলো সংশোধনী এনেছে (ত্রয়োদশ ও পঞ্চদশ) এসব জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসেনি, আদালতের রায় নিয়ে সংশোধন করা হয়েছে। সংসদ কিংবা রেফারেন্ডামে জনগণ ওইসবের সিদ্ধান্ত দেয়নি। ’

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা না করে বিএনপিকে ধ্বংস করতে আদালতকে ব্যবহার করছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আদালতকে ব্যবহার করে গণতন্ত্রবিরোধী কাজ করে চলছে। গঠনতন্ত্র নিয়ে উচ্চ আদালতের আদেশ একেবারেই অকার্যকর। ’

তিনি বলেন, বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। জনগণের রায় নিয়েই বারবার ক্ষমতায় এসেছে। তাই এতো সহজেই বিএনপিকে নির্মূল করা যাবে না। ’

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আদালতকে ভুল তথ্য দিয়ে এ আদেশ নেওয়া হয়েছে। দলের গঠণতন্ত্র নিয়ে যে আদেশ জারি করা হয়েছে, তা আমরা জানিই না। মহাসচিবকে বিবাদী করা হয়েছে, তিনিও জানেন না। কোনো সার্টিফাইড কপি দেয়া হয়নি। এটা আইনের আলোকে একেবারেই অকার্যকর। ’ 

তিনি বলেন, ইসির ক্ষমতা খুবই সীমিত। এটা ৮ মাস আগেই গ্রহণ করা হয়েছে। এখন রুল জারি পুরো সাংঘর্ষিক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আসাদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৮
টিএম/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।