বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বোরহানউদ্দিনে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম।
এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লোকজনের বাধার মুখে নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে পারছেন না।
‘প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে অন্তত ৫০ জনকে আহত করেছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা বা প্রশাসনকে ২৪টি অভিযোগ দেওয়া হলেও তারা কোনো ব্যবস্থাগ্রহণ করছেন না’ বলেও অভিযোগ করেন হাফিজ ইব্রাহিম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাফরুজা সুলতানা, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের নেতা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
একইদিন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আলী আজম মুকুল তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘বিএনপি প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিমকে কেউ বাধা দেয়নি। তার (হাফিজ) নির্দেশে ২০০১ সালের পর সাধারণ মানুষের ওপর নির্মম নির্যাতন করা হয়েছিলো। যে কারণে মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে আছে। তিনি লোক লজ্জায় ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তিনি জনগণকে কি জবাব দিবেন, সেই ভয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নামছেন না। ’
২০০১ সালের বিএনপির আমলে নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে মুকুল বলেন, ‘হাফিজ ইব্রাহিম বোরহানউদ্দিন-দৌলতখানে সন্ত্রাস করেছেন। এমনকি তার দলের অনেক নেতাও তার হাত থেকে রক্ষা পায়নি। ’
সংবাদ সম্মেলন শেষে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠক করেন আলী আজম মুকুল।
দুটি’ পৌরসভা, দু’টি উপজেলা ও ১৮টি ইউনিয়ন নিয়ে ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) আসন গঠিত। এখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮
জিপি