তিনি বলেছেন, সিলেটে যুগ যুগ ধরে সম্প্রীতির পরিবেশ বিরাজমান। সম্প্রীতির শহর হিসেবে সারাদেশের মধ্যে সিলেটের খ্যাতি রয়েছে।
বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) সিলেট নগরী ও সদর উপজেলার বিভিন্নস্থানে নির্বাচনী গণসংযোগ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান ড. মোমেন।
এসময় মোমেন এও বলেন, সম্প্রীতির এই পরিবেশ নষ্ট করবেন না। তাছাড়া নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো মহল যেনো এই পরিবেশ ধ্বংস করতে না পারে, সেদিকেও সবাইকে নজর দিতে হবে।
সম্প্রতি সিলেটে নিজ নির্বাচনী কার্যালয় ও প্রচার গাড়িতে হামলা, বিভিন্নস্থানে পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সম্প্রীতির এই শহরে এসব ঘটনা দুঃখজনক। এ সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। অন্যথায়, আমাদের ঐতিহ্যের সংস্কৃতি কলঙ্কিত হবে।
ড. মোমেন আরও বলেন, নির্বাচন এলে কিছু সুযোগসন্ধানী লোক থাকে। তারা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে ফায়দা নিতে চায়। দেশি-বিদেশি এসব ষড়যন্ত্রকারী স্থানীয়দের সহায়তা নিয়ে ফায়দা হাসিল করে।
তিনি বলেন, আমরা ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম হারিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছি। আমরা আমাদের দেশকে ভালবাসি। আমরা এদেশের শান্তি, উন্নয়ন ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে চাই। অন্য কারও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নিজেদের দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে পারি না।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশকে শান্তি ও উন্নয়নের স্বর্ণশিখরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে। তার জন্য প্রয়োজন জনগণের সমর্থন ও সহযোগিতা।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে যে সকল দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে, সেসব দেশ এগিয়ে গেছে। একটি গণতান্ত্রিক ও উন্নয়নমুখী সরকারের ধারাবাহিকতা রাখতে আগামী ৩০ তারিখের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
বুধবার সকালে তিনি নগরীর ৯নং ওয়ার্ডের মদিনা মার্কেট-বাঘবাড়ি এলাকায় গণসংযোগ করেন। সকাল সাড়ে ১১টায় ৬নং ওয়ার্ডের বাদামবাগিচা এলাকায় গণসংযোগ, পরে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গণসংযোগ ও ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়। সাড়ে ১২টায় নগরীর জিন্দাবাজারের মিলেনিয়াম মার্কেটে গণসংযোগ ও মতবিনিময়। বিকেল ৩টায় নগরীর কালাগুল, ছড়াগাঙ ও বড়জান চা বাগানে প্রধানমন্ত্রীর আগমণ উপলক্ষে চা শ্রমিকদের প্রস্তুতি সভায় অংশ নেন মোমেন।
এসময় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সহ সভাপতি আশফাক আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত পুরকায়স্ত, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা জগদীশ দাস, অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, কামাল আহমদ, কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান, অ্যাডভোকেট মোস্তফা দেলওয়ার আল আজহার, ফারুক আহমদ, আশীক মিয়া মাসুক, অ্যাডভোকেট বেলাল উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন চেয়ারম্যান, আশুতোষ ধর চৌধুরী, মানসিংহ দাস, বিধান কপালী, বিজিত বৈদ্য, নিশিকান্ত দাস, শামসুল আলম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮
এনইউ/টিএ