ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

লক্ষ্মীপুর-৪

ঐক্যফ্রন্ট-যুক্তফ্রন্টের মর্যাদার লড়াই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৮
ঐক্যফ্রন্ট-যুক্তফ্রন্টের মর্যাদার লড়াই আ স ম আবদুর রব ও জেমর (অব.) আবদুল মান্নান

লক্ষ্মীপুর: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে ঐক্যফ্রন্ট ও যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে লড়ছে। এখানে চলছে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর মর্যাদার লড়াই। এদের একজন বিএনপির শরিক ঐক্যফ্রন্টের নেতা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। অপরজন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক যুক্তফ্রন্ট নেতা ও বিকল্পধারার মহাসচিব জেমর (অব.) আবদুল মান্নান। এরা লড়ছেন নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে।

জেলার মেঘনা উপকূলীয় এ আসনে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে, ২০০১ ও ০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির প্রার্থী আশরাফউদ্দিন নিজান।

জোটগত কারণে এদের দু’জনই এবার দলীয় চূড়ান্ত মনোনয়ন থেকে বাদ পড়েছেন। এখন ভোটের মাঠে লড়ছেন ঐক্যফ্রন্ট ও যুক্তফ্রন্টের দুই নেতা। তারা দু’জনই সাবেক মন্ত্রী ছিলেন।

আ স ম রব লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মেজর (অব.) আবদুল মান্নান এ আসনে বিকল্পধারার কুলা প্রতীকে নির্বাচন করে হেরেছেন। ওই নির্বাচনে রব ভোট করেছেন জেএসডি থেকে ‘তারা’ প্রতীকে। তাদের দু’জনকেই হারিয়ে বিএনপি প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন নিজান নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে, মেজর মান্নান ১৯৯১ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসন থেকে নির্বাচিত হন।

বিগত সব কয়েকটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল পর্যাবেক্ষণ করলে দেখা যায়, এখানে বিএনপির শক্ত অবস্থান। যে কারণে এটি বিএনপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত। এখানকার ভোটাররা প্রার্থী নয়; ধানের শীষ প্রতীক দেখে ভোট দেয়। তবে ব্যক্তি রবেরও নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে। জেএসডি ও বিএনপি জোটের ভোটে ঐক্যফ্রন্টের এ নেতা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
এদিকে, মেজর (অব.) আবদুল্ল মান্নানের ব্যক্তি জনপ্রিয়তা আছে। তিনি নিজ উদ্যোগে মেঘনা নদী ভাঙনরোধে উদ্যোগ নিয়েছেন। কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দান অনুদান দিয়ে বিগত সময় বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। তবে এখানে তার দলীয় ভিত মজবুত নয়। তাকে পুরোপুরি নির্ভর করতে হচ্ছে আওয়ামী লীগের ওপর।  

নৌকা প্রতীকের এ প্রার্থী জানান, স্বাধীনতার পর থেকে তিনটি রাজনৈতিক দল পালাক্রমে সরকার গঠন করেছে। সব সরকারের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরপর দুই মেয়াদে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে তা বাংলাদেশে ইতিহাসে প্রথম। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাকে আবারও সরকার প্রধান করতে হবে।

নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হলে রামগতি ও কমলনগরের নদী ভাঙনরোধে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। অস্বচ্ছল পরিবারগুলোর তালিকা করে প্রতিটি পরিবার থেকে অন্তত একজনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। কৃষকদের জন্য সার-বীজের সহজ প্রাপ্তি ও মৎস্যজীবীদের জন্য মৎস্য সংরক্ষণ ও বিপণন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

আসম আবদুর রব বলেন, মা-বোনেরা যেন ঘর থেকে বেরিয়ে নিরাপদ থাকতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। ভোটের দিন গণজাগরণ সৃষ্টির মাধ্যমে ভোট বিপ্লব ঘটাতে হবে।

রামগতি উপজেলার আটটি ও কমলনগর উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত লক্ষ্মীপুর-৪। এ আসনে বর্তমান ভোটার তিন লাখ ১০ হাজার ৮৪৭ জন। গত সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলো দুই লাখ ৬৬ হাজার ৭২৬ জন। সে হিসেবে এ আসনে গত পাঁচ বছরে ভোটার বেড়েছে ৪৪ হাজার ১২১ জন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৮
এসআর/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।