মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এমন অভিযোগ করে প্রাপ্ত ভোটে হতাশা ব্যক্ত করে ফলাফল প্রত্যাহার ও পুনঃনির্বাচন দাবি করেছেন তিনি।
সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে মোটরগাড়ি (কার) প্রতীকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মল্লিক।
নির্বাচনী ফলাফলে তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ১৭০ ভোট। যা বিজয়ী প্রার্থী গণফোরামের মোকাব্বির খানের প্রাপ্ত ৬৯ হাজার ৪২০ ভোটের ৫৯ ভাগের এক ভাগ সমান। আর এ আসনে প্রদত্ত ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৩ ভোটের ১২৮ ভাগের এক ভাগ সমপরিমাণ।
মল্লিক বলেন, ‘নির্বাচনী মাঠে একটি সংস্থার সব জরিপে আমি এগিয়ে থাকার পরও আমার হাজার হাজার ভোট কারচুপি করে গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এক আওয়ামী লীগ নেতার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ফলাফলে এমন রদবদল হয়েছে। ’
ইউকে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান, লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক আইএজি সদস্য আব্দুর রব উল্লেখ করেন, দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর যুক্তরাজ্যে অবস্থান করলেও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করছেন। সেই লক্ষ্যেই তিনি নির্বাচনে অংশ নেন। জয়ের ব্যাপারেও তিনি আশাবাদী ছিলেন। আসনের ভোটাররা তাকে স্বতস্ফূর্ত সমর্থন ও ভোট দিয়েছেন। সেই হিসেবে তিনি বিজয়ী হওয়ার কথা। কিন্তু ভোট কারচুপির মাধ্যমে গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বিরকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ওই মোকাব্বির নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে লন্ডন চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু দু’দিন আগে তিনি দেশে এসে নির্বাচনে অংশ নেন। এতো অল্প সময় প্রচারণা করে বিজয় অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে বলে মনে করেন তিনি।
প্রতিহিংসার কারণে তাকে পরাজিত করা হয়েছে অভিযোগ করে মল্লিক বলেন, ভোটের একদিন আগে এক আওয়ামী লীগ নেতা আমার কাছে বড় অংকের টাকা দাবি করে বলেছিলেন- টাকা দিলে আমাকে বিজয়ী করা হবে। কিন্তু আমি তাতে রাজি হইনি। কারণ আমার বিশ্বাস ছিলো ফেয়ার নির্বাচন হলে আমিই বিজয়ী হবো।
‘১২৭টি কেন্দ্রে যেমন আমার এজেন্ট ছিলো, তেমনি ছিলো শতশত ভোটার। ফলাফল ঘোষণার পর হতবাক হই আমি। এমনকি ফলাফল শুনে গত দু’দিন ধরে শতশত মানুষ আমার বাড়িতে ভিড় করেন, তারাও ফলাফল মেনে নিতে পারছেন না। ’
তিনি মনে করেন, মোকাব্বিরকে গায়েবি ভোটে বিজয়ী করে তার বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোট হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা আব্দুর রব মাওলানা সৈয়দ মোছলে উদ্দিন, মাওলানা আছাব আলী, সিলেট জেলা তরুণ প্রজন্ম দলের সাধারণ সম্পাদক মো, সমর আলী, বাবুল চক্রবর্তী, ব্যবসায়ী খালীক মিয়া, বিএনপি নেতা আজমান আলী, গয়াছ মিয়া, রুহুল আমিন, নজরুল, বাচ্চু মিয়া, আবুল, শিমু, ছাত্রদল নেতা রাজু আহমদ, জাহাঙ্গীর, কয়েছ মিয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৮
এনইউ/আরবি/