বুধবার (০২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণভবনে স্কাউটস, ব্যবসায়ী, ব্যাংকারসহ বিভিন্ন সংগঠন, সংস্থার প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে এলে তাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সত্তুর সালে কিন্তু একটা ২০ দলীয় ঐক্যজোট ছিলো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে।
‘উনি (বঙ্গবন্ধু) জানতেন এটা পাবে। গোটা পাকিস্তানে কিন্তু আওয়ামী লীগ মেজরিটি পেয়েছিল। যাই হোক আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গিয়েছেন। ’
পড়ুন>>সুন্দর দেশ গড়তে সবার সহযোগিতা চাইলেন শেখ হাসিনা
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, এবার মানুষের মধ্যে ভোট দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা ছিলো। একজন বলছে ভোট দিয়েছে, বলে কাকে দিলা বলে নৌকায়। বলে প্রার্থী কে ছিল সেতো জানি না। আমি নৌকায় ভোট দিয়েছি।
‘এটা দেখেছিলাম সত্তুরের নির্বাচনে ক্যাম্পেইন করতে যেয়ে। কাকে ভোট দেবে সেটা না, যে শেখ মুজিবের নাও (নৌকা), শেখের নৌকাতে ভোট দিবে। …নৌকা ছাড়া কিছু বোঝে না, শেখ মুজিব ছাড়া কিছু বোঝে না,’ যোগ করেন তিনি।
ব্যবসায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের সমর্থন আমাদের ভোট পেতে সহযোগিতা করেছে।
বিরোধী জোট ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘দুঃখজনক যে- একটা অপজিশন তাদের আচার-আচারণটা ছিল খুব পিক্যুলিয়ার। কারণ তারা যেভাবে নমিনেশন দিয়েছে, মানে এটা ঠিক ইলেকশন করার জন্য না। ’
মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে ঐক্যফ্রন্ট এভাবে হেরেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তাহলে আপনারা চিন্তা করুন এই যে নমিনেশন যাচ্ছে বার বার কিসের বিনিময়ে যাচ্ছে। এই ঘটনা যারা ঘটায় তারা ভোটেই বা পাবে কি? আর নির্বাচনই বা করবে কি? এটাতো রীতিমত ট্রেড, ব্যবসা বাণিজ্য হয়ে গেছে। '
‘একটা অপজিশন শক্তিশালী দরকার হয় গণতন্ত্রের জন্য। কাজেই আমরা এজন্য চাচ্ছিলাম যে অপজিশনটা অন্তত ভালোভাবে হোক। এভাবে নমিনেশন বিক্রি করলে তো অপজিশন হওয়ার সুযোগ কমই থাকে,’ বলেন শেখ হাসিনা।
‘মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসাই আমার সম্পদ’
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গিয়েছিলেন। একটাই লক্ষ্য আমার, আমার আর কিচ্ছু চাওয়ার নেই। আমি কিছুই চাই না। বাংলাদেশের মানুষের ঘর হবে, তাদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া শিখবে। তারা রোগে চিকিৎসা পাবে, তাদের খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, নিরাপত্তা পাবে এটাই চাওয়া।
‘মানুষের এই যে সমর্থন, ভালোবাসা; এটাই তো আমার সম্পদ, বাপ-মা ভাই বোন হারিয়ে আর কিছুই তো আমার নেই। এইটুকু আমি পাচ্ছি, এটা তো সবচেয়ে বড় পাওয়া। ’
তিনি বলেন, এই যে মানুষের বিশ্বাস, আস্থা। এই বিশ্বাসের মর্যাদা যেন আমি দিয়ে যেতে পারি, আল্লাহর কাছে সেই দোয়াটা করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
এমইউএম/এমএ