তবে প্রাথমিকভাবে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও মায়ের কবরের পাশেই চির নিদ্রায় শায়িত হতে পারেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (০৩ জানুয়ারি) মরহুমের ছোটভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।
তিনি এখন থাইল্যান্ডের ব্যাংকক রয়েছেন। বড়ভাই সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুকালে তিনিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ছিলেন।
ব্যাংকক থেকে মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে সৈয়দ শাফায়েত জানান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফসহ দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, বনানী কবরস্থানে বাবা ও মায়ের কবরের ওপরই ভাইয়ের কবর হতে পারে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী। তার (শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ধারণ হবে কোথায় ভাইয়ের দাফন হবে। ’
পড়ুন>>সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আর নেই
সৈয়দ শাফায়েত জানান, আগামী শনিবার (০৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ব্যাংককের ওই হাসপাতাল থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ।
ওইদিন বিকেলে ব্যাংকক থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তার মরদেহ দেশে আনা হবে বলে জানান আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৈয়দ আশরাফ।
ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। বৃহস্পতিবার নতুন এমপিদের শপথ অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত থাকতে না পেরে সময় চেয়ে স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন সৈয়দ আশরাফ। কিন্তু সময় পেলেও সহকর্মীদের শপথের দিনেই চলে যান না ফেরার দেশে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৯
এমএএএম/এমএ