ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

হেলিকপ্টারে ত্রাণ দিতে নয়, বন্যার্তদের দেখতে গিয়েছিলাম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৯
হেলিকপ্টারে ত্রাণ দিতে নয়, বন্যার্তদের দেখতে গিয়েছিলাম জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের, ফাইল ফটো

ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, আপনারা হয়তো দেখেছেন- আমি তিন দিন হেলিকপ্টারযোগে চার জেলার বন্যা পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেছি। আমার এ যাওয়াটা ত্রাণ বিতরণ করতে নয়। বন্যা পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখতে গিয়েছি। এটা হেলিকপ্টার ছাড়া দেখা সম্ভব ছিল না।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে ডেঙ্গু জ্বর ও বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  

গত ৩ আগস্ট ‘আড়াই লাখ টাকা হেলিকপ্টার ভাড়ায় দুই লাখ টাকার ত্রাণ বিতরণ’ শিরোনামে বাংলানিউজে খবর প্রকাশিত হয়।

এরপর এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন জিএম কাদের।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, যখন বন্যাদুর্গত মানুষের কাছে গিয়েছি, তখন কর্মীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য আমিও কিছু ত্রাণ বিতরণ করেছি। তবে, মূল কাজটি করেছে আমাদের দলীয় নেতা-কর্মীরা ও মেডিকেল টিম।

জিএম কাদের বলেন, দেশের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে এটা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমি সে কাজটিই করেছি। এর পাশাপাশি বন্যাদুর্গত মানুষকে সাহস যোগানোর চেষ্টা করেছি। তবে, দুর্গতদের সব ধরনের সহায়তা করার দায়িত্ব সরকারের।  

তিনি বলেন, বন্যা ও ডেঙ্গুতে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল দেশ। এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আমরা জামালপুর, শেরপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাটে ত্রাণ দিয়েছি।  

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, তাদের (বন্যদুর্গত) দাবি ত্রাণ নয়, বন্যা প্রতিরোধ করা। অনেকেই ত্রাণ নিতে চান না। এ সমস্যাগুলোর কারণে তারা ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ, সময়মত না পাওয়ার অভিযোগ করেন। যেসব এলাকা আক্রান্ত হবে, সঙ্গে সঙ্গে ত্রাণ দেওয়া দরকার।  

তিনি বলেন, আমি যা দেখেছি, তার ভয়াবহতা আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরেছি। সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি, বন্যার্তদের কাছে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেবার জন্য।

জিএম কাদের বলেন, দেশ এখন ভয়াবহভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সরকার নির্ধারিত সময়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এডিস মশা নিধনের ওষুধ কাজ করছে না ভেজালের কারণে। কত মানুষ মারা গেছে, কত মানুষ আক্রান্ত- তার সঠিক হিসাব সরকারের কাছে নেই।

তিনি বলেন, বেসরকারি হাসপাতালে ফ্রি ডেঙ্গু চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকার সে বিল পরিশোধ করবে।  

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাপা মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৯
এসই/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।