ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সতর্ক থাকার আহ্বান যুবলীগের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সতর্ক থাকার আহ্বান যুবলীগের

ঢাকা: সিরিজ বোমা হামলার মতো যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে আওয়ামী যুবলীগের প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে। 

সমাবেশে যুবলীগ নেতারা বলেছেন, ১৭ আগস্টের সিরিজ হামলা ছিল শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সিরিজ ষড়যন্ত্র। এ শক্তির ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই।

এ ধরনের যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।  

শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  

২০০৫ সালে সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে যুবলীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে।     

সমাবেশে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুণ-অর রশিদ বলেন, বিএনপি, জামায়াত, জঙ্গিগোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তারা জানে, শেখ হাসিনাকে মারতে পারলে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে। এজন্য বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ গ্রেনেড হামালার প্রতিবাদে যখন সারাদেশের মানুষ সোচ্চার হয়ে ওঠে, তখন ২০০৫ সালে ৬৩টি জেলায় সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়। এ সিরিজ বোমা হামলার উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে ধ্বংস করা। আজ আমরা এ শক্তিকে পরাভূত করেছি। কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে, তারা বার বার অশুভ তৎপরতা চালিয়ে যাবে।  

যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাদ বলেন, ১৭ আগস্ট সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা ছিল শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সিরিজ ষড়যন্ত্র। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থেকে জঙ্গি সৃষ্টি করেছিল। আমরা এ জঙ্গিবাদী শক্তিকে পরাভূত করে ক্ষমতায় এসেছি। শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত না হতেন, তাহলে এ সিরিজ ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকতো। এ ধরনের যেকোনো ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে সবাইকে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে হবে।  

প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য ক্ষমতায় থেকে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছিল। শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালায়। ১৭ আগস্ট সারাদেশের ৫০০ স্থানে সিরিজ বোমা হামলা চালায়। তাদের চক্রান্ত এখনও চলছে। যুবলীগের সবস্তরের নেতা-কর্মীকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
 
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহবুবুর রহমান হিরণ, ফারুক হোসেন, আতাউর রহমান আতা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।  

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, নূর হোসেন স্কয়ার, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
এসকে/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।