ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সুশাসনের বিকল্প নেই: ইনু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সুশাসনের বিকল্প নেই: ইনু

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সুশাসনের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। 

সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে জাসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ইনু বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা বাংলাদেশের ওপর সব চাইতে বড় আঘাত।

মুক্তিযুদ্ধবিরোধী দেশি-বিদেশি অপশক্তি তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। খুনিরা শুধু ব্যক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদেরই নির্মমভাবে হত্যা করেনি, তারা স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের ভিত্তি ও আত্মাকেই হত্যা করতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তাই তারা সংবিধান থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের পথে ঠেলে দিয়েছিল।

জাসদ সভাপতি বলেন, পরবর্তীতে প্রমাণ হয়েছে, বঙ্গবন্ধুকে খুন ও পাকিস্তানপন্থীর রাজনীতির মূল ঘাঁটি বিএনপি। বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি বিষবৃক্ষ। বিএনপিসহ পাকিস্তানপন্থীদের সঙ্গে কোনো আপস হবে না। এরা ষড়যন্ত্রকারী। সুযোগ পেলেই ছোবল মেরে বসবে। ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ঘাঁটি এবং খুঁটি সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে।  

সবাইকে সতর্ক থাকার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঘরকাটা ইঁদুর, ঘরের এবং আপন লোকদের ব্যাপারেও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা যেন আবার কোনো সুযোগ না পায়। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। এ আদর্শে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে সুশাসনের কোনো বিকল্প নেই।  

আলোচনা সভায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে দূরে সরিয়ে রেখে মুজিববর্ষ পালনে কোনো ফল হবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছিল গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করেই আমাদের মুজিববর্ষ পালন করতে হবে।  

হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, সহ-সভাপতি আফরোজা হক রীনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, রোকনুজ্জামান রোকন, জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (জাসদ) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আহসান হাবীব শামীম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
আরকেআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।