ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আইন পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরত দেওয়ার আহ্বান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
আইন পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরত দেওয়ার আহ্বান

ঢাকা: যে সব দেশে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা পালিয়ে আছে আইন পরিবর্তন করে হলেও খুনিদের ফেরত দিতে সেই দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ১৪ দল। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠনের দাবিও জানানো হয়।

বুধবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে ১৪ দলের আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।


 
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ১৯৭৫ এ  বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দেশ সম্পূর্ণ পাকিস্তানের ভাবধারায় চলছিল। সব শোককে শক্তিকে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন।  

সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর  রহমানকে সপরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্রে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন করা প্রয়োজন।  

সভায় সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশ ব্যতিত কোনো দেশের জাতির জনকের হত্যাকারীদের অন্যদেশে আশ্রয় দেওয়ার নজির নেই। যারা গণতন্ত্র ও মানবতার কথা বলেন, তারা কীভাবে খুনিদের আশ্রয় দেন? মানবতার জন্যই তো আইন। আইনের দোহাই না দিয়ে আইন পরিবর্তন করে হলেও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরত দিন। যেদেশে আব্রাহাম লিংকন, মার্টিন লুথার কিং দের জন্ম সেদেশে খুনিদের আশ্রয় হবে কেন? কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোর সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। সেই পিয়েরে ট্রুডোর সন্তান জাস্টিন ট্রুডো বর্তমানে কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তারপরও কানাডা কেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়েছে। গণতান্ত্রিক দেশগুলো এভাবে খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিলে, দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিরা তো সেখানেই নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নেবে।  

সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, পচাত্তরের আগেও ‘এক নেতা, এক দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ স্লোগান ছাড়া কিছুই ছিল না। তাই এখন সবার সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িতদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন করতে হবে।
 
সভায় জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বিএনপি হলো রাজনীতির বিষবৃক্ষ। তারা দেশের রাজনীতির জন্য হুমকি। এ বিষবৃক্ষ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিপদের মধ্যে থাকবো’।  

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, ন্যাপের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, কমিউনিষ্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. অসীত বরণ রায় প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯ 
এসকে/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।