ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপিকে অভিনন্দন, তবে...

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপিকে অভিনন্দন, তবে... সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

ঢাকা: বিএনপির আজ ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। একইসঙ্গে ৪২ বছরে পর্দাপণ করেছে এজন্য বিএনপিকে আমি অভিনন্দন জানাই। তবে গত ৪১ বছরের পথচলায় তারা ক্ষমতা দখল করেছে। আবার ক্ষমতায় যায় খালেদার নেতৃত্বে। দেশকে তারা সুশাসন দিতে পারেনি। খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিল তখন শুধু দুর্নীতি, দুঃশাসন নয় দেশ জঙ্গিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। 

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রীর দপ্তরে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ একথা বলেন।  

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির জন্মটাই হয়েছে একটি  অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমানের হাতে।

অস্ত্রের জোরে ক্ষমতা দখল করে তারা।  বিএনপির বেশির ভাগ বড় বড় নেতা অন্য দল থেকে দলছুট হয়ে বিএনপিতে গেছেন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে, উচ্ছিষ্ট নেতাদের নিয়ে গঠিত দল বিএনপি। এই বিএনপির নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়।

তিনি বলেন, বিএনপি অগ্রগতির চাকাকে ঘুর্ণীয়মান চাকায় রূপান্তরিত করেছিল। উন্নতির চাকা এক জায়গায় ঘুরছিল। বিরোধীদল হিসেবে বিএনপি পেট্রোলবোমা, সন্ত্রাসআশ্রয়ী ও জঙ্গিনির্ভর রাজনীতি করেছে।  এটি বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। কখনও একটি রাজনৈতিক দলের জঙ্গিআশ্রয়ী রাজনীতি করা উচিত নয়। গণমানুষের জন্য যারা রাজনীতি করেন তাদের কোনোভাবেই এটা উচিত নয় যেটি বিএনপি করেছে।  

বিএনপির রাজনীতি বরাবরই দোষারোপ করা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি আশাকরি বিএনপির দোষারোপ করার যে রাজনীতি সেটি পরিহার করবে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন আওয়ামী লীগ নেতাদের জনসভায় হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। ২১ আগস্ট মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চাওয়া হলে তা দেয়নি। তবে ২০ আগস্ট মাঝরাতে দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশের অনুমতি দেয়। সে কারণে মঞ্চ তৈরি করতে পারিনি।  

‘ট্রাকে করে সমাবেশ করতে হয়। সেই সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এটা তাদের পুরোপুরি পূর্বপরিকল্পিত। বিএনপি কখনও আওয়ামী লীগকে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। বিএনপি যখন অভিযোগ করে তাদের অনুরোধ জানাবো তারা যেন অতীতকে একটু ফিরে দেখে। আওয়ামী লীগ বিএনপিকে সবসময় সভা-সমাবেশ করার অনুমোদন দেয়। বরং নিজেরা দ্বন্দ্ব করে তা পণ্ড করে।  

আইএস নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আসলে দেশে কোনো সময় একটি গাড়ির চাকা বাস্ট হলেও আইএস দাবি করে বসে। সেটা এখন সন্দেহ হয়। এই যে আইএস দাবি করা এটা কীভাবে কারা করে এটা আমার জানা নেই। আইএস এর কোনো অস্তিত্ব বাংলাদেশে নেই। অবশ্যই জঙ্গিরা আগস্ট মাস এলেই সক্রিয় হয় বাংলাদেশে। আমরা জঙ্গি অবদমন করতে পেরেছি। তবে জঙ্গি পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। আমরা পুরোপুরি নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর।  

কৃষ্ণা রায়ের গাড়িচাপা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কৃষ্ণা রায়ের ওপর বেপরোয় গাড়ি উঠে যাওয়াটা অত্যন্ত দুঃখজনক। দেশের কিছু গাড়ি চালক বেপোরোয়া হয়ে গেছে। এটি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এজন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আমি বাস, ট্রাক মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নগুলোকে অনুরোধ জানাবো যাতে কোনো হেলপারের হাতে যেন গাড়ির স্টিয়ারিং ছেড়ে না দেওয়া হয়।  

গুজব নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, সময় সময় গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করা সরকারকে দোষারোপ করার পরিকল্পনার অংশ। আমাদের গুজব প্রতিরোধ সেল রয়েছে। গুজব ছড়ানো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে গুজবকারীদের বিরুদ্ধে লেখা হয় তাহলে গুজব কিছুটা কমে আসবে। তবে সরকার এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।