মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) বিকেলে মতিঝিলে নিজ চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির মিটিং শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার যে মামলার শুনানি চলছে, সেই মামলায় তার জামিন পাওয়ার সুযোগ আছে কিনা, এমন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, সুযোগ অবশ্যই আছে, সুযোগ অবশ্যই আছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, মানবিক কারণে খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ার যোগ্য। আজকের সভায় স্পষ্টভাবে আলোচনা হয়েছে। আমাদের লিখিত বক্তব্যে সব আছে।
এর আগে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কারাবন্দি সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে, বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কারাগারে দীর্ঘ ৬৬৪ দিন বন্দি করে রাখা হয়েছে।
মান্না আরও বলেন, যে মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে সাজা দেওয়া হয়েছে, তা অন্যায়। তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় আমরা তার আশু মুক্তি দাবি করছি। এ দাবি মানবিক এবং তিনি জামিন পাওয়ার অধিকার রাখেন। অন্যথায় তার দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সরকারের ওপর বর্তাবে।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সাক্ষাতের প্রসঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, আমরা ২২ তারিখ স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। উনি আন্তরিকতার সঙ্গে বলেছিলেন, আইজি প্রিজনকে বলে দিয়েছেন। আমরা নামের তালিকা পাঠিয়েছি। কিন্ত এখনও খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের সু্যোগ দেওয়া হচ্ছে না।
ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেন- জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাঈদ, সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিকল্প ধারা একাংশের সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
এমএইচ/এসএ