ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদা জিয়াকে পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
খালেদা জিয়াকে পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি

ঢাকা: ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) বিএসএমএমইউ শাখার নেতারা বলেছেন, জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগেই খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দ্বারা তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। তাকে তার প্রাপ্য জামিন দিয়ে মুক্ত পরিবেশে তার পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। অন্যথায় চিকিৎসক সমাজ নীরবে বসে থাকবে না। দেশের সব জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তার মুক্তি আন্দোলন গড়ে তুলবে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে ড্যাব বিএসএমএমইউ শাখা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসক নেতারা এসব কথা বলেন।
 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ড্যাব বিএসএমএমইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ ফরহাদ।

 

তিনি বলেন, ইদানিং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা অসত্য বিভ্রান্তিমূলক ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা মনে করি, খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তীলে তীলে নিঃশেষ করে দেওয়ার অপপ্রয়াসে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অসত্য সংবাদ পরিবেশন করেছেন।
 
ডা. শেখ ফরহাদ বলেন, খালেদা জিয়া চরম অসুস্থতায় ভুগছেন। বাস্তবিক অর্থে তিনি ধীরে ধীরে পঙ্গুত্বের দিকে যাচ্ছেন। এসময় যথাযথ চিকিৎসা না দিলে তার এ অবস্থা স্থায়ী রূপ নিতে পারে। অথচ বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ সরকারের অশুভ ইশারায় জাতিকে বিভ্রান্ত করতে ও খালেদা জিয়ার প্রাপ্য জামিন ভণ্ডুল করতে সত্য গোপন করছেন।

তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে জেলখানায় ঢুকেন। হেঁটে দোতলায় তার নির্ধারিত রুমে যান। এমনকি জেলখানায় থেকে আগেরবার যখন বিএসএমএমইউতে আসেন তখন গাড়ি থেকে নেমে নিজে লিফট পর্যন্ত হেঁটে যান। সময়ে পরিক্রমায় তিনি কীভাবে আজকের অবস্থায় উপনীত হলেন? স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে সঠিক চিকিৎসার অভাবে তিনি ধীরে ধীরে এ অবস্থায় উপনীত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ ২৮ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছেন তা সত্যের অপলাপ।
 
ড্যাবের এ নেতা বলেন, একজন রোগীর মেডিক্যাল রিপোর্ট পেশ করতে এত সময় লাগার কারণ নেই। আমাদের জানা মতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকরা তার মেডিক্যাল রিপোর্ট দুই দফা প্রস্তুত করে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্যর কাছে জমা দিয়েছেন। তদুপরি অধিকতর পরীক্ষার নামে কালক্ষেপণের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এটা খালেদা জিয়াকে মৃত্যু ঝুঁকির দিকে ধাবিত করার অপকৌশল।
 
সংবাদ সম্মেলনে ড্যাবের সহ-সভাপতি ডা. হেলাল উদ্দিন, উপদেষ্টা ডা. মো. সহিদুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব ডা. কাজী মাযাহারুল ইসলাম দোলন, ড্যাব বিএসএমএমইউ শাখার সভাপতি ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. শহিদুল হক রাহাত, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, দফতর সম্পাদক ডা. মো. মশিউর রহমান কাজল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
এমএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।