বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মাওলানা ভাসানীর ১৩৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ উষ্মা প্রকাশ করেন। আলোচনা সভাটির আয়োজন করে ভাসানী অনুসারী পরিষদ।
সভাপতির বক্তব্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজ সুবহে সাদিকের পর মাওলানা ভাসানীর সঙ্গে আমার কথা হয়। তিনি আমাকে বললেন, দেশ কি স্বাধীন হয়েছে? আমি শেখ মুজিবকে কীভাবে মুক্ত করেছিলাম জানো? ক্যান্টনমেন্ট ভেঙে মুজিবকে বের করে এনেছিলাম। বাংলাদেশকে মুক্ত করেছিলাম। আজ এই বাংলাদেশে প্রায় ২ কোটি মানুষ পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে না। পাটকল শ্রমিকদের অনশন চলছে, দেশের আজ এই অবস্থা। তারপর আমার ঘুম ভেঙে যায়। এই দেশে মাওলানা ভাসানীর জন্মদিনও ভালোভাবে পালন করা হয় না। তাহলে বুঝেন দেশ কীভাবে চলছে।
আলোচনা সভায় জোনায়েদ সাকি বলেন, ভারতের একটি উগ্রবাদী রাজনীতির বীজ ছড়িয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায়। বাংলাদেশে এমন একটা সরকারকে দেখতে পাচ্ছি, যারা কিনা ভারতের তাঁবেদার সরকার হিসেবে জনগণের কাছে পরিচিত। তারা আমাদের নদীর পানির অধিকার দাবি করতে পারে না। মানবিক কারণে ভারতকে পানি দেওয়া। ভারতকে পানি দিতে আমাদের কোনো বাধা নেই। কিন্তু তারা ৩৬টি পাইপ বসিয়ে আগে থেকে পানি নিয়ে চলে যায়। তখন হিসাব থাকে না। তারপরে তারা একটি চুক্তি করে নেয়, যেন তাদের পানি নেওয়া জায়েজ হয়ে যায়। সেখানে আমরা দেখতে পাই সরকারের চরম ব্যর্থতা। তারা বাংলাদেশের স্বার্থ টেবিলে তুলতে সক্ষম না। দেশের উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে যাচ্ছে সরকার।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মাওলানা ভাসানীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাওলানা ভাসানী মুসলিম ও বাঙালির পরিচয় তুলে ধরেছেন। প্রগতিশীল রাজনীতি করেছেন। মুসলিমদের মুক্তির জন্য তিনি লড়াই করেছেন। বাংলাদেশে নতুন রাজনীতির বিকাশ সম্ভব। এই পরিস্থিতিতেও সম্ভব।
গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ভাসানী অনুসারী পরিষদ চেয়ারম্যান ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ভাসানী অনুসারী পরিষদ প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, সংগঠনের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, বাসদের সভাপতি খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
এমএমআই/এইচএডি/