ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদার মুক্তির দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
খালেদার মুক্তির দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আদালত খারিজ করে দেওয়ার প্রতিবাদ ও অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে বাড্ডার সুবাস্তু নজরভ্যালী টাওয়ারের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ফুজি টাওয়ারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

 

এসময় পুলিশ ধাওয়া দিয়ে চারজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছে বিএনপি। মিছিলে অন্যদের মধ্যে মহানগর উত্তর বিএনপির আহসানুল্লাহ হাসান, এ জি এম শামসুল হক, এ বি এম আবদুর রাজ্জাক, তাজুল ইসলাম, আব্দুল কাদের বাবু, নুরুল ইসলাম কাজী, তুহিন, সাজ্জাদ হোসেন রুবেল, হারুনুর রশিদসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। গত শনিবার এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ১৯৭০ সালে মেজর পদে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আসেন কে এম সফিউল্লাহ। ১৯৭২ সালের ৫ এপ্রিল শেখ মুজিবুর রহমান কে এম সফিউল্লাহকে ডেকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিতে বলেন। তখন দেশের সামরিক বাহিনীর প্রধান অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন এম এ জি ওসমানী। সফিউল্লাহর পদবী তখন লেফট্যানেন্ট কর্নেল ছিল (যুদ্ধের সময় পদোন্নতিপ্রাপ্ত)। তিনি সেনাপ্রধান হতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিতে হয় এবং তাকে পূর্ণ কর্নেল পদে উন্নীত করা হয়। অথচ জিয়াউর রহমান ছিলেন সেসময়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি ব্রিগেডিয়ার এবং একই বছরের ১০ অক্টোবর তিনি মেজর জেনারেল পদবী লাভ করেন। তার সঙ্গে জিয়াউর রহমানও পদোন্নতি পেয়ে উপ-সেনাপ্রধান হয়েছিলেন। যারা সরকারি চাকরি করেন তারা তো পদোন্নতি পাবেন এটা স্বাভাবিক। সেটা যখন যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন। সুতরাং জিয়া কারো বদান্যতায় সেনাবাহিনীর প্রধান হননি। তিনি নিজের যোগ্যতা বলেই সেনাবাহিনীর প্রধান হয়েছিলেন। আজকে তার সমালোচনা করে যারা কথা বলেন তারা গণতন্ত্রের শত্রু এবং ফ্যাসিস্ট ও অবৈধ। তারা তো বিনা ভোটে সরকার। মধ্যরাতের ভোট ডাকাতির সরকার।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপরিবারে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সেসময় শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরই বহু নেতা তাদের আত্মতৃপ্তির কথা বলেছিলেন। তাদেরই একজন আব্দুল মালেক উকিল লন্ডনে থাকাবস্থায় বলেছিলেন যে, ‘ফেরাউনের পতন হোক’। এমনকি খন্দকার মোশতাকের শপথবাক্য পাঠ করান তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এইচটি ইমাম। আজকে যিনি প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম সিনিয়র উপদেষ্টা। কই প্রধানমন্ত্রী তো সে বিষয়ে কিছু বলেননি। অথচ পরবর্তীতে মালেক উকিলসহ হত্যাকাণ্ডের সমর্থনকারী বহু নেতাই তো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন।

দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা ও সম্পাদককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই। গণমাধ্যমে মত প্রকাশ ও মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
এমএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।