ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ন্যায়-সমতার ভিত্তিতে দেশ গড়তে যুদ্ধ করেছিলাম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
ন্যায়-সমতার ভিত্তিতে দেশ গড়তে যুদ্ধ করেছিলাম

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই হলো একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা-সমাজব্যবস্থা। ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে একটি দেশ একটি সমাজব্যবস্থা গড়তে হবে। এটি সামনে রেখেই আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। বঙ্গবন্ধু আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে বেইলি রোডে অফিসার্স ক্লাব আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ‍কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক একথা বলেন।  

তিনি বলেন, আমরা যদি দারিদ্র্যমোচন না করতে পারি তাহলে যুদ্ধের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বা আমাদের চেতনা ব্যর্থ হবে।

আজ অনেক ভালো লাগে যে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আপনারা জানেন যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি, মিথ্যাচার করা হয়। ৫৬ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের সংবিধান হয়নি। ৫৬ সালে সংবিধানের খসড়া হয়। সেই খসড়া আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণপরিষদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, মাননীয় স্পিকার আপনারা বলছেন, পূর্ব পাকিস্তান। পদ্মা-মেঘনা যমুনা পারের এই অঞ্চলটি কোনোদিন পূর্বপাকিস্তান ছিল না। ইতিহাসের কোথাও পূর্বপাকিস্তান লেখা নেই। এটি পূর্ববঙ্গ, বঙ্গদেশ, বাংলাদেশ, বঙ্গভূমি, নানা নামে পরিচিত। কোনোদিন পূর্বপাকিস্তান ছিল না। আমি শেখ মুজিবুর রহমান কোনোদিন পূর্ব পাকিস্তান বলবো না। এটি পূর্ববঙ্গ, এটি বাংলাদেশ।
 
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নির্মম-নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। সেদিন থেকে সুপরিকল্পিতভাবে স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। আমি বলতে চাই, যারা এখন নিজেদের স্বাধীনতার ঘোষক বলে পরিচয় দিতে চায়, এই এক তারিখে তাদের নাম আমরা কেউ জানতাম কিনা।

অফিসার্স ক্লাবের সভাপতি মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন খান। স্বাগত বক্তব্য দেন,  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিশেষ কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল হাই। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আসাদুজ্জামান নূর এমপি,  ক্লাব সদস্য সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি,  সিনিয়র সচিব,  সচিব,  অতিরিক্ত সচিব,  যুগ্ম সচিবসহ অন্য কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থার প্রধান।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
এমএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।