ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

উত্তরে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ-দক্ষিণে ইশরাক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
উত্তরে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ-দক্ষিণে ইশরাক

ঢাকা: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) বিএনপির হয়ে লড়বেন দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণ সিটিতে (ডিএসসিসি) প্রয়াত সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক ও প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার শেষে নাম ঘোষণা করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আমরা মনে করি না।

তারপরও আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমরা মনে করি এ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হব। জনগণের কাছে যাওয়ার একটি সুযোগ পাবো।  যদিও গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন ও সরকার আমাদের সেই সুযোগ দেয়নি।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি বর্তমানে যে সরকার এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না, এটা বাস্তবতা। কিন্তু এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেটাকে পাল্টে দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে। এই সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসা সরকার না। এরা সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছে না, এটা খুব পরিস্কার।  

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রার্থী ইশরাক হোসেন তার একটি পরিচয় রয়েছে, তিনি আমাদের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে। যদিও তিনি একেবারেই নতুন তারপরও আমরা মনে করছি নতুনদের মধ্যে তার একটি বড় আকর্ষণ থাকবে। একই সঙ্গে তিনি উচ্চশিক্ষিত এবং আপনাদের সঙ্গেও হয়তো তার কথা হয়েছে। আমার মনে হয় আপনারাও তাকে পছন্দ করেছেন। এ সময় তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি করপোরেশনের মনোনয়নপ্রাপ্ত তাবিথ আউয়ালের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, তাবিথ একজন যোগ্যপ্রার্থী, এর প্রমাণ তিনি ইতোপূর্বে দিয়েছেন। তাই আমরা দলীয়ভাবে মনে করেছি তারা নির্বাচনের জন্য যোগ্য প্রার্থী।

এ সময় নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে প্রশ্ন করলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে এখন কথা বলতে আমার রুচি হয় না। এ নির্বাচন কমিশন কেমন তা আপনারা অতীতে দেখেছেন এবং নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের কথা প্রকাশ পেয়েছে। তবু যেহেতু আমাদের অন্য কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। এটি একটি রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান তাই তাদের অধীনে নির্বাচনে যেতে হচ্ছে।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক বসে। বৈঠক শেষে মেয়র পদে ৩ মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎ নেন তারা। এ সময় লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপিতে যুক্ত হয়ে ২ প্রার্থীকে পরামর্শ দেন।  

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমিরউদ্দীন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. আব্দুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
এম এইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।