শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা, সিপিবির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মণি সিংহের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে আগামী বছরটাকে মুজিব বর্ষ হিসেবে পালন করার জন্য। আমরা মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবো। কিন্তু কথার মধ্যে একটা কথা হচ্ছে- বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পালন করে আমরা যদি মনে করি ইতিহাসের পাঠ, আলোচনা সেখানে সমাপ্ত হচ্ছে, এই কাজটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ’
‘মুক্তিযুদ্ধের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে আমরা যদি বঙ্গবন্ধু আর আওয়ামী লীগের ভূমিকাটা বর্ণনা করে শেষ করে দেই তাহলে সেটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। জিয়াউর রহমান ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে কেটে দিয়ে। এখন বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে বড় করা হচ্ছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বাদে আরও অসংখ্য নেতার ভূমিকার মধ্য দিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম, সেই বিষয়টির উল্লেখ না করা অন্যায়। এটাকে আমি ইতিহাসের বিকৃতি মনে করি। '
অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘মণি সিংহের জীবন বৃত্তান্ত আরও অধিক মনোযোগের সঙ্গে পাঠ করা উচিত, অধ্যয়ন করা উচিত। এটা কেবলমাত্র ইতিহাসকে জানার জন্য নয়, তার জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে সমাজ ও দেশের প্রতি, সভ্যতার প্রতি সংগ্রামের প্রতি যে দায়িত্ব তা আমরা যেন সঠিকভাবে পালন করতে পারি। ’
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন- সিপিবির উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এ এন রাশেদা, সাংবাদিক সোহরাব হাসান, সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. দিবালোক সিংহ, ডা. অসিতবরণ রায়, শ্রমিকনেতা আসলাম খান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী ডা. আহাম্মদ সাজেদুল হক রুবেল, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
এসকেবি/এইচএডি/