শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে প্রেস কাউন্সিল দিবস-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
সমাজে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেমন আবশ্যকীয় তেমনি অন্যের মৌলিক স্বাধীনতা সুরক্ষাও প্রয়োজন বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সুস্থ সমাজ বিকাশের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ন্যায়ভিত্তিক ও বিতর্কভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা যেমন থাকতে হবে তেমনি সে স্বাধীনতা যেন অন্যের স্বাধীনতা কিংবা অধিকারে অযাচিত হস্তক্ষেপ না হয় সেদিকেও গণমাধ্যমকর্মীদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য বহুমাত্রিক সমাজব্যবস্থার মধ্য দিয়ে দেশের বিকাশ করা। তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছাড়া যা সম্ভব নয়। বস্তুগত উন্নয়ন, ভৌত উন্নয়নের পাশাপাশি মেধা ও মননে বিকশিত, স্বাধীনতার আদর্শে উজ্জীবিত একটি উন্নত রাষ্ট্র গঠন আমাদের লক্ষ্য।
হাছান মাহমুদ বলেন, গত দশ বছরে সংবাদ পরিবেশনের চিত্র আমূল পরিবর্তিত হওয়ার কারণে প্রেস কাউন্সিলের কাজের ব্যাপকতা, দায়িত্ব ও বৈচিত্র্যতা বহুগুণে বেড়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১১ বছর আগে যেখানে টেলিভিশন চ্যানেল ছিল ১০টি এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬টিতে, দৈনিক সংবাদপত্রের সংখ্যা ৪৫০ থেকে বেড়ে এখন প্রায় ১২শ ৫০টি। ফলে সবার আগে সংবাদ পরিবেশনের প্রতিযোগিতায় অনেক সময় অনেক অসত্য, ভুল সংবাদ পরিবেশিত হয় যা মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে, অনেক সময় সমাজের ক্ষতি হয়।
‘গণমাধ্যমে ভুল ও অসত্য সংবাদ পরিবেশন ব্যক্তি এবং সমাজের জন্য হুমকিস্বরূপ, যা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তাই আমি মনে করে সংবাদ পরিবেশনের শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি প্রেস কাউন্সিলের। সংবাদ সংগ্রহ ও তা পরিবেশনে যুগের নিরিখে কর্মপন্থা, গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার মাধ্যমে যুগোপযোগী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে প্রেস কাউন্সিল আমি এমন আশা করি।
প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্যসচিব কামরুন নাহার, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০
এএ