ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল, তাদের কঠোর বিচার হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২০
‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল, তাদের কঠোর বিচার হবে’

ঢাকা: একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে ৯ মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে যেভাবে পাকিস্তানি ও তাদের দোসরদের পরাজিত করা হয়েছে তেমনি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতাকারীদের পরাজিত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে যেমন ধ্বংস করা যাবে না তেমনি কেউ যদি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে বা ভাঙে তাহলে তাদের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মতো মোকাবিলা করে আবার পরাজিত করবো।

তাদের আবার আমাদের পায়ের নিচে পড়ে ক্ষমা চাইতে হবে।

শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইলের পৌর পার্কে টাঙাইল পৌরসভা আয়োজিত টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য যারা ভেঙেছে তাদের কী বিচার হবে? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী তাদের এই কাজ রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এই আইনেই তাদের বিচার হবে। তাদের অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। ’

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরে বিএনপি জড়িত ও তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এদের সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় এসেছিল। ভাঙচুরে অবশ্যই তাদের যোগসাজশ আছে। কিন্তু বিচার করতে গেলে প্রমাণ লাগে। প্রমাণ সাপেক্ষে অবশ্যই তাদের বিচার হবে। তারা যদি অর্থ দিয়ে থাকে বা অন্যভাবে সহযোগিতা করে থাকে তবে অবশ্যই তাদের বিচার হবে। যারা যারা অপরাধ করেছে তারা কেউই রেহাই পাবে না। ’

ড. রাজ্জাক আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশটিকে শুধু স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে চান নি, তিনি এটিকে বলেছিলেন মুক্তির সংগ্রাম। দেশটিকে তিনি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ সব দিক দিয়ে স্বাধীন করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং ন্যায়-সমতার ভিত্তিতে একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি দেশিয়-আন্তর্জাতিক ঘাতকচক্র ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। তারপর থেকে ২১ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করেছে। যার ধারাবাহিকতা হলো বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা ও ভাঙচুর।

টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরনের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, সাংসদ তানভীর হাসান ছোটমনির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে টাঙ্গাইলকে মুক্ত করে। সকালে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বিরাট বাহিনী নিয়ে টাঙ্গাইল পুরোনো শহরে প্রবেশ করেন এবং থানা চত্বরে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২০
এমআইএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।