ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

নারী কাজি নিয়ে হাইকোর্টের রায় সংবিধান পরিপন্থী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২১
নারী কাজি নিয়ে হাইকোর্টের রায় সংবিধান পরিপন্থী ...

ঢাকা: নারীরা নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) হতে পারবে না বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় সংবিধান পরিপন্থী ও নারীর অগ্রযাত্রার পথে বাধাদানকারী সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি রওশন আরা রুশো এবং সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসু এক যুক্ত বিবৃতিতে এ কথা উল্লেখ করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, মুসলিম বিবাহের ক্ষেত্রে নারীরা নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজি হতে পারবে না বলে আইন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে গত ১০ জানুয়ারি হাইকোর্টের দেওয়া যে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে তা সংবিধান পরিপন্থী ও নারীর অগ্রযাত্রার পথে বাধাদানকারী সিদ্ধান্ত।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাইকোর্টের এই রায়ে বলা হয়েছে, ‘নারীরা মাসের একটি নির্দিষ্ট সময় ফিজিক্যাল ডিসকোয়ালিফেশনে থাকেন। সেক্ষেত্রে মুসলিম বিবাহ হচ্ছে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং আমাদের দেশে বেশিরভাগ বিয়ে মসজিদে পড়ানো হয়ে থাকে। ওই সময়ে নারীরা মসজিদে প্রবেশ করতে পারেন না এবং তারা নামাজও পড়তে পারেন না। সুতরাং বিয়ে যেহেতু একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সেহেতু এই বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে নারীদের দিয়ে নিকাহ রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়। ফলে নারীরা নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) হতে পারবেন না। ’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিকাহ রেজিস্ট্রারের কাজ বিয়ে পড়ানো নয়, বিয়ে নিবন্ধন করা। আর বিয়ে রেজিস্ট্রি কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা কাজ নয়, রাষ্ট্রীয় আইনি দায়িত্ব। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কোনো কাজে নারী হওয়ার কারণে কেউ চাকরি বঞ্চিত হবেন এটা সংবিধান বিরোধী। সংবিধানের ২৯ (খ) ধারায় বলা হয়েছে, “কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিক প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ-লাভের অযোগ্য হইবেন না কিংবা সেই ক্ষেত্রে তাঁহার প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যাইবে না। ”

নেতারা বলেন, আদালতের এমন একটি প্রতিক্রিয়াশীল রায় নারীদের অগ্রযাত্রার পথে বাধাদান করবে যা সংবিধান বিরোধীও।

সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের পক্ষ থেকে নেতারা অবিলম্বে রায় পুনর্বিবেচনা ও বাতিলের আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২১
আরকেআর/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।