ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

কাউন্সিলর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২১
কাউন্সিলর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: পৌর নির্বাচনের পর তরিকুল ইসলাম (৪৫) নামে এক কাউন্সিলরের মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে পরবর্তী ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে সংঘাত ও হানাহানি এড়াতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহকে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে চার দিনব্যাপী অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান ওবাদুল কাদের। সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, অপরাধীদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।  

দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে ব্যাপক সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি হয়েছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, মানুষ উন্নয়ন চায় বলেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছে। বিএনপি প্রার্থীরা যেখানে সক্রিয় ও জনপ্রিয় ছিল সেখানে তারা বিজয়ী হয়েছে। এমনকি তাদের দু’জন বিদ্রোহী প্রার্থীও বিজয়ী হয়েছে। এখন কোনো দোষ খুঁজে না পেয়ে ভোটের ব্যবধান বেশি বলছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্জনের কারণেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বেশি ভোটে জয়ী হয়েছে। এটাই স্বাভাবিক। জনগণের কাছে বিএনপি কী বলে ভোট চাইবে, তাদের তো বলার কিছু নেই। আগুন সন্ত্রাস আর মানুষ পুড়িয়ে মারা এবং দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া তাদের জনগণের কাছে আর কী বা বলার আছে? ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে প্রচার না চালিয়ে বিএনপি ভোটারদের আস্থা হারিয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয় উন্নয়নের বিজয়। বিপুল ভোটের ব্যবধান বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিকে জনগণের প্রত্যাখ্যান।

পৌর নির্বাচনের এ বিজয় উগ্র সাম্প্রদায়িকতা তোষণ-পোষণের বিরুদ্ধে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ ব্যবধান এবং বিজয় থেকে বিএনপি ভবিষ্যতে শিক্ষা নেবে।

ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের উদ্দেশ্যে সেতুমন্ত্রী বলেন, কর্মদক্ষতার পাশাপাশি জীবনদক্ষতাও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ফায়ার সেফটিসহ অন্য বিষয়ে দক্ষতা অর্জন জীবন দক্ষতার জন্য সহায়ক হবে। নিজেরা প্রশিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি কর্মপরিবেশে অগ্নিনিরাপত্তা প্রতিরোধ ব্যবস্থা, উদ্ধার তৎপরতা, নিজের সুরক্ষা, প্রাথমিক চিকিৎসাসহ অন্য বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সফল হতে হবে। আগুন, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন দুর্যোগে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সবার মনে রাখতে হবে শুধু নিজে বাঁচার জন্য নয়, নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করে অন্য ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষা ও জীবন রক্ষাই হতে হবে প্রধান লক্ষ্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২১
এসকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।