ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

জোট সরকারের আমলে রেলওয়েতে দৃশ্যমান উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২১
জোট সরকারের আমলে রেলওয়েতে দৃশ্যমান উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। ছবি: বাংলানিউজ

পাবনা (ঈশ্বরদী): রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে রেলবান্ধব প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রেলওয়েতে দৃশ্যমান উন্নয়ন শুরু হয়েছে। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে রেলওয়েতে দৃশ্যমান কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

 

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ৭২৬ নম্বর আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে খুলনা-মংলাবন্দর প্রকল্প পরিদর্শনে যাওয়ার সময় দুপুরে ঈশ্বরদী জংশনে যাত্রাবিরতিকালে রেলপথমন্ত্রী বাংলানিউজকে একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের যে কয়েকটি প্রকল্প চলমান রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো খুলনা থেকে মংলা প্রকল্প সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত যোগাযোগ। বৃটিশ আমল থেকেই খুলনা পর্যন্ত রেলপথ রয়েছে তবে মংলা পর্যন্ত ছিল না। প্রকল্পটি চলমান রয়েছে। সেই কাজের অগ্রগতি দেখতে যাচ্ছি। আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারতের অর্থায়নে খুলনা থেকে মংলা সমুদ্র বন্দর রেলপ্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।  

তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী যমুনা সেতুর নদীর ওপরে দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। আশাকরি আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে দ্বিতীয় রেলসেতু নির্মিত হবে। পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ওপরে যেমন পাশাপাশি দুটি রেললাইন রয়েছে। ঈশ্বরদী-জয়দেবপুর রুটে (ব্রডগেজ-মিটারগেজ) ডাবলগেজ রেললাইন নির্মিত হলে ট্রেন আসা যাওয়া সহজ হবে। যমুনা নদীর ওপর দ্বিতীয় রেলসেতু নির্মিত হওয়ার পর এই রুটে ডাবলগেজ রেললাইন করা হবে। ডাবল রেললাইন হলে ঈশ্বরদী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ক্রসিং ভোগান্তি ছাড়াই  সহজে ট্রেন আসা যাওয়া করতে পারবে। ডাবল লাইন তৈরি হওয়া পর্যন্ত  নতুন কোনো ট্রেন এই রুটে চলাচল করানো যাবে না। রেললাইন নির্মিত হলে বিভিন্ন রুটের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ আরও বাড়ানো হবে।  

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন আরও বলেন, এই রুটে আমাদের ২২টি ট্রেন আনা নেওয়ার কথা থাকলেও যাত্রীদের চাহিদার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়েই ৪২টি যাত্রীবাহী ট্রেন আসা যাওয়া করছে। ঈশ্বরদী টু টঙ্গি পর্যন্ত সিঙ্গেল রেললাইন দিয়ে যাতায়াত করছে সব ট্রেন। ডাবল লাইন না থাকার কারণে প্রায় ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় এবং ট্রেন যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে। ঈশ্বরদীবাসীকে অপেক্ষা করতে হবে, যতদিন পর্যন্ত যমুনা নদীতে দ্বিতীয় সেতু এবং ডাবল লাইন নির্মিত না হচ্ছে।  

এসময় রেলমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে ট্রেনে ছিলেন- রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, অতিরিক্ত মহা-পরিচালক (অপারেশন) সর্দার শাহাদাৎ আলী, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী-আল ফাত্তাহ মো. মাসউদূর রহমান, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ বীরবল মণ্ডল, বিভাগীয় যান্ত্রীক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) মমতাজুল ইসলাম সোহান প্রমুখ।  

এর আগে রেলওয়ে শ্রমিকলীগ ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২১ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।