ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন: হানিফ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন: হানিফ

ঢাকা: সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একাত্তরে পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর খামারবাড়ির কেআইবি অডিটোরিয়ামে ‘কৃষিবিদ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী।

মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, জিয়ার খেতাব বাতিলের নতুন ইস্যু নিয়ে মাঠ গরম হচ্ছে। এটা জামুকার সিদ্ধান্ত, এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না।

তিনি বলেন, ’৭৫-এর পরে জিয়া যে কাজ করেছেন পুরোটাই মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল। তার সেই কর্মকাণ্ড বলে না যে, তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। একাত্তরে তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তার একটি ঘটনাও নেই যে, তিনি সম্মুখ যুদ্ধ করেছেন। তিনি পাকিস্তানের দোসর ছিলেন।

হানিফ বলেন, তারা প্রায়ই বলেন, মানুষের হৃদয় থেকে জিয়ার নাম মুছে ফেলা যাবে না। আমরাও জানি তার সেই সময়ের কর্মকাণ্ডের জন্য মীর জাফর হিসেবে ইতিহাসে জিয়ার নাম লেখা থাকবে। তার কর্মকাণ্ড মানুষ ভুলে নাই, ’৭৫-এর পর রাজাকার গোলাম আযমকে জিয়া নাগরিকত্ব দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিদেশি ষড়যন্ত্র করছে। আল জাজিরার মতো বিদেশি গণমাধ্যমকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে তাদের সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে।

হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে কৃষিবিদ দিবস ঘোষণা করেন। তিনি কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়েছিলেন। তিনি জানতেন কৃষি অর্থনীতি ছাড়া দেশকে উন্নত করা সম্ভব নয়। তাই তিনি কৃষিকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলে থাকেন—পেট ঠাণ্ডা তো সব ঠাণ্ডা। তাই তিনি চিন্তা করেছিলেন মানুষের পেট ঠাণ্ডা রাখতে হলে এই সেক্টরকে গুরুত্ব দিতে হবে। তাই তিনি এই সেক্টরকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন, যার কারণে আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাই আজ বলতেই হয়— ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই—ছোটো সে তরী/ আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি’।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ক্ষুধা নিবারণের একটি জায়গা কৃষি। তাই বঙ্গবন্ধু ভাঙা স্তূপের মধ্যেও দাঁড়িয়ে কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তার এই সুদূরপ্রসারী চিন্তায় আজ কৃষিতে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, কৃষিবিদদের সামগ্রিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর আমল থেকে যে স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়েছিল তার ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিবিদ ও কৃষকদের নজিরবিহীন মূল্যায়ন করেন। কৃষিবিদরা শুধু কৃষির উন্নয়নে ভূমিকা রাখলে হবে না, কৃষিবান্ধব সরকারের অভীষ্ট ও লক্ষ্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সচেতন মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ শক্তিশালীভাবে ঘটাতে হবে।

কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ বলেন, খাদ্যে ঘাটতি বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটি একমাত্র সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে।

আলোচনা সভায় কৃষিতে একুশে পদকে মনোনয়ন পাওয়া মির্জা এ জলিল বলেন, সাড়ে ৭ কোটির বাংলাদেশে এখন ১৭ কোটি লোক। কিন্তু এখন কোনো লোক না খেয়ে নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
এসএমএকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।