ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

হত্যাকারীদের বিদেশে পাঠিয়েছিলেন খালেদ মোশাররফ: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
হত্যাকারীদের বিদেশে পাঠিয়েছিলেন খালেদ মোশাররফ: রিজভী ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জিয়াউর রহমান কোনো হত্যাকারীকে বিদেশে পাঠাননি। তাদের বিদেশে পাঠিয়েছিলেন খালেদ মোশাররফ।

জিয়াউর রহমান তখন তার নিজ গৃহে বন্দি ছিলেন।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

রিজভী বলেন, রাষ্ট্রপতিকে (বঙ্গবন্ধুকে) রক্ষা করার এক নম্বর দায়িত্ব ছিল তৎকালীন সেনাপ্রধানের। তিনি টেলিফোনে বলেছেন আপনি প্রাচীর টপকে পার হয়ে যান। এতো বড় কাপুরুষ ভীরুকে আপনার পিতা বানিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর প্রধান। অথচ সিনিয়র ছিলেন জিয়াউর রহমান। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন এই কারণেই বোধ হয় তাকে সেনাবাহিনীর প্রধান করা হয়নি। সেই লোককে আপনি রূপগঞ্জ থেকে এমপি বানাননি?

প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেন, আপনি কি আয়নার দিকে তাকান না। আপনি আপনার মন্ত্রিপরিষদের দিকে তাকান না? আপনি কাদের রেখেছেন, আপনার এমপি মন্ত্রী। শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যাকারী যাদেরকে বলা হচ্ছে, তাদের দেশ থেকে যখন বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় তখনতো জিয়াউর রহমান বন্ধি। নিজ গৃহে বন্ধি। তখন তো আপনাদের সমর্থনেই একটি ক্যু হয়েছিল খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে।

তিনি বলেন, সেদিন আমরা টেলিভিশনে দেখেছি খালেদ মোশাররফের মা-ভাই বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে ৩২ নম্বরে মিছিল করেছে। সেই খালেদ মোশাররফই তো আপনার পিতার, আপনার পরিবারের হত্যাকারীদের প্রেমে পড়ে তাদের থাইল্যান্ডে পাঠিয়ে দিয়েছিল। একথা আপনার মন্ত্রীরা বলে না কেনো? আপনার নেতারা বলে না কেনো? সেদিনতো খালেদ মোশাররফ ক্ষমতায়। তাহলে জিয়াউর রহমানের কথা বলছেন কেন? জিয়াউর রহমান তো চাকরি করতেন। তিনি সেকেন্ড ম্যান ছিলেন, এক নম্বর ব্যক্তিও ছিলেন না।

রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এর মাধ্যমে। এটাতো প্রতিহিংসা। এই প্রতিহিংসা করতে গিয়ে আপনি একের পর এক রাষ্ট্র নিয়ে, দেশনিয়ে, দেশপ্রেম নিয়ে আপনি যে কাজগুলো করছেন এটা ইতিহাসের জঘন্যতম কালো অধ্যায় রচিত হবে।

তিনি আরও বলেন, আলজাজিরার একটি প্রতিবেদনে আপনার রাজ সিংহাসন কেঁপে উঠলো। আপনার গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান, আমলাদের প্রধান, পুলিশ বাহিনীর প্রধান সব দিল্লিতে যাচ্ছে। আপনার ক্ষমতার উৎস তো জনগণ নয়। আপনার ক্ষমতার উৎস তো আমরা জানি। আল-জাজিরার এক রিপোর্টে সব দিল্লিতে ধর্ণা দিচ্ছেন।

ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
এমএইচ/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।